আমার প্রেম
হৈমন্তী চন্দ্র
চেয়েছি বলে ফিরিয়ে দিয়েছ
নইলে এমনি দিতে!
নইলে নিয়ে যেতে টয় ট্রেনে
হিলকার্ট রোড
দুহাতে ধরতে কুয়াশা
আমাকে মাখাবে বলে!
তা নয় তা নয়
আসলে ফেরাবে বলেই ফিরিয়েছো
ফেরাতে লাগে যে কত ফন্দি
জানতোনা আকাশ আর মাটি।
প্রেমকে জামা করে পরেছো রোজকার জীবনে।
প্রেম কী এমনই মূল্যহীন !
কত সময় হয়েছে অপচয়
আজ মনে হয়!
মন তবু মনে মনে
প্রেমকেই করে আশীর্বাদ।
এর চেয়ে ঢের ভাল হোত
যদি কোন দৈনিক পত্রিকায়
এঁকে যেতে রঙ করা
জীবনের জলছবি
বিকোতে যদি তা চড়া দামে!
কতো গোপন কথা যা শুধু তোমাকেই বলা
নষ্ট কাব্যে এঁকেছো!
সেই সব মূল্যবান অতীত!
কুড়িয়েছো বাহবা
অনুভব না করে গোপন কে
প্রকাশ করার লজ্জা!
একের পর এক লজ্জা দিয়ে
এঁকেছো প্রেমের কবিতা!
দেখে বাক্ রুদ্ধ আমি!
এই ছিলাম আমি তোমার কাছে!
এক কালো ভ্রমর কাশফুলে বসে
ঢাকে কাঠি নিয়ে বোলের
সোরগোল তুলেছে—
“ঠাকুর থাকবে কতক্ষন
ঠাকুর যাবে বিসর্জন”!
বলে দিও তাকে এ প্রেম নয়
এ বিশ্বাসের মরণ।
তুমি মহাকবির চেয়েও বড় কবি হও
কিন্তু বিশ্বাসের গলা টিপে নয়।
পবিত্র প্রেমের মুখে ফেরিওয়ালার কালি ছিটিয়ে নয়।
মন গড়া অভিযোগ এনেও নয়।
কবির কলম বড়ই শক্তিশালী
সততা , মূল্যবোধ ,বিশ্বাসের
জপমালা সাথে নিয়েই তার সমস্ত সৃজনী।
মিথ্যা দিয়ে কলুষিত হলে
কষ্ট লাগে মনে ।
সত্য ধর্ম বিসর্জন দিয়ে
দেবতার আশীর্বাদ ভাসালে পঙ্কিল জলাশয়ে
কী নিদারুণ অবহেলায়!
প্রেম তবু চির ঋণী
বৃষ্টির মতোই পবিত্র তার পরশ
তাই মৃত্যু হয় শরীরের
প্রেম বেঁচে থাকে বিধাতার আশিস হয়ে।
জীবনে যাদের মিলন হয়
তারা দুটি দেহ।
প্রেমের দৈহিক মিলন হয়না
তার বিশালতাকে সীমায় বাঁধতে পারে
এমন বিশ্বকর্মা আজো জন্মায় নি।
মার দেওয়া ,বৌঠানের এগিয়ে দেওয়া
কলম কে বুকে জড়িয়ে রেখেছিল রবি কবি।
তুমিও সসন্মানে সিংহাসনে রেখো
তোমার প্রিয় ঝরনা কলম টি।
সার্বজনীন সৃজনীর গ্রহণ যোগ্যতা
বা সার্বিক স্বীকৃতিতে
ঝলমল করুক তোমার কলম।
শ্রাবণের গানে আর পূণ্য স্নানে
পরশ নিও “না বলা বানীর
ঘন যামিনী”র ব্যথা।
শতবর্ষ পেরিয়েও তোমার লেখায়
যেন চোখ ভিজে যায়
কোন শ্রী ময়ীর!
যেন প্রেমের নিটোল ফুল যেন ছোঁয়
দানব নয় দেবতার পা।
বিকৃত বা বিক্রিত হয়না যেন সেদিন
পবিত্র নিষ্পাপ প্রেম।
যেন মহা শূন্য থেকে ভেসে আসে তোমার কাব্য।
তুমি ও তোমার কবিতা যেন হয়
প্রতি জনের মনের কথা!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো গোপন।