তুমি এসেছিলে কৈশর জীবনে
ছিলে তবে অবুঝ বালিকা
হৃদয়ের মাঝে প্রেম জমিয়ে
কত করেছিলাম তালিকা।
শৈশব থেকে কৈশোরে এলে
বন্ধন হলো যে শক্ত
প্রকৃতির নিয়মে আশেপাশে কত
হয়ে গেল তোমার ভক্ত।
ছিলোনা তখন মোবাইল টেলিফোন
লেখা হতো তাই চিঠি
রাতের গভীরে হারিকেনের আলোতে
পড়ে হাসতাম মিটমিটি।
কাঠের কষিতে দাগ টেনে টেনে
লিখতাম প্যাডের পাতায়
ইনিবিনিয়ে মনের আবেগ গুলো
টুকিয়ে রাখতাম খাতায়।
ডাক হরকরা ছিলোনা তাইতো
ইটের দেয়াল ডাকঘর
চিঠি গুলো আজ বাক্সে বন্ধি
তুমি হয়ে গেছো পর।
কত জনরে পাশে নিলে তুমি
সাদা কালো লম্বা বেটে
পিছু নিতো কত বকাটের দল
স্কুলে যখন যেতে হেটে।
তোমার নিকটের আত্মীয় স্বজন
আমারে বলতো কটু কথা
কেউ করতো তামাশার ছলে
মনে পেতাম বড় ব্যাথা।
তোমার যত সহপাঠী ছিলো
জানতো না এত কিছু
প্রেম সাগরে ডুবে মরে যেন
তুমি ছাড়া সবই মিছু।
এভাবে গেলো কয়েকটি বছর
যৌবনে গজালো পাখা
চোখে দেখলে আলোর ফোয়ারা
প্রশস্ত হলো তোমার শাখা।
পৃথিবীর নিকটে বেদামী হলো
যাদের নেইতো অর্থ
ভালোবাসা সবই নিছক সেথায়
সব কিছুতেই যেন ব্যর্থ।
ধীরে ধীরে আমি বিলীন হলেম
কারো করলে আবাসন
রাতের আঁধারে ছুটে পাথারে
তারে নিয়ে ভাসাও প্লাবন।
ধনীর দুলালের পিছু নিলে তাই
দেখলে না নবীন প্রবীন
এভাবেই আমি তোমার মন হতে
চিরতরে পেলাম জামিন।
লুকোচুরি খেলায় মেতে চলেছিলে
হঠাৎ এক দিন রাতে
রাধা কৃষ্ণের প্রেমের লীলাটা
ধরা খেলে আমার হাতে।
সেদিন হতেই ছিন্ন করলাম
এক তরফার বিষাদ প্রেম
বোকার মতো বুঝে গেলাম তবে
এটাই বুঝি আসল গেম।
বিয়োগ হয়েছে ধীরে ধীরে কেউ
কেউ পেয়েছে ছোঁয়া
সময়ের সাথে চলে গেছো তুমিও
ধরিয়ে দিয়ে এক মোয়া।
ধনী বুড়োদের স্বর্ন কপাল
সুন্দরীদের করে বন্ধি
গাড়ি বাড়ি আর প্রাচুর্যের সাথে
চিরকাল করে সন্ধি।
তাই দেখিয়ে মুচকি হেসে
বলি ওরে পাগলা বোকা
রমনীর ফাঁদে পরোনা গরীব
খেতে হবে শেষে ধোঁকা।