বাড়িটি বেশ সাজানো গোছানো
পাথরের টাইলস করা
এক ইউনিটে বসত করছে
বাকিটা দিয়েছে ভাড়া।
আইয়ুব সাহেব ভদ্রলোক বটে
নেই, আগে পিছে ডানে বামে
বাড়ি খানা তাই লিখে দিয়েছে
নিজের বউয়ের নামে।
ওটাও তার ছিলোনা নিজের
লিখে দিয়েছেন তার মাতা
আজ অবধি বৃদ্ধা মা তার
শিক বিহীন এক ছাতা।
দো- তলাতে বসতি করেন
নিজ তলায় থাকেন মা
বয়সের ভারে রোগে ভুগছে
শরীরে ধরেছে তার ঘা।
দেখার মতো কারো নেই সময়
জোটেনা একটু খাবার
অবহেলা আর অযত্নে থেকে
শুকিয়ে গেছে মাংস হাড়।
মাঝে মাঝে কিছু বাজার দিয়ে
হন হন করে পালায়
কুঁজো কোমরে লাঠি ভর করে
নিজ হাতে উনুন জ্বালায়।
এভাবেই চলছে বহুদিন ধরে
তবু নেই অভিমান
সহসা হারিয়ে প্রশ্ন খোঁজে
এটাই বুঝি সন্তান?
বাড়ির ভাড়াটিয়ার গৃহ কর্মীর
দয়া হলো একদা মনে
আইয়ুব সাহবের বেগমকে ডেকে
বললো তা নির্জনে।
শাশুড়ি আপনার ক্ষুধার্ত আছে
দিতেন যদি কিছু খাবার
শুনিলাম আমি সকাল দুপুরেও
কিছুই করেনি আহার।
শুনিয়ে বেগম ক্ষিপ্ত হলেন
ধমকে করলো কাত
তোমার যদি দয়া হয় বাপু
দাওনা তারে ভাত।
বাসায় দেয়ালে ক্যামেরা লাগানো
টিভিতে সব ভাসে
হায়রে সন্তান করুণা করেও
একবারও না আসে।
অসুখটা বৃদ্ধার বেড়ে চলেছে
সপ্তাহ খানেক হলো
ইশারায় ডাকছে মৃত্যুর দূত
পৃথিবী ছেড়ে চলো।
মৃত্যুর কালে আশে পাশে কত
মানুষ হয়েছে জড়ো
হায়রে মানুষ বেঁচে থাকতে
কাছে পায়নি কারো।
অষ্টম দিনে পৃথিবী আজ
দিয়েছে তাকে ছুটি
চাইবেনা আর তোমাদের দারে
এক মুঠো ভাত রুটি।