দীর্ঘদিন গ্যাড়াকলে আর বাশের চিপায় পরে
নিত্য চলে অশান্তির তীব্র তাপদাহ
ঝাড়ফুঁক মন্ত্র মানেনা পোষ্য।
বুকে চাপা রেখেছি যন্ত্রণার কালো পাহাড়
ইচ্ছে করে তাই সব চিবিয়ে করি আহার
ধীরে ধীরে হয়ে চলেছি নিঃস্ব।
ছাপোষা জীবনে আমাবস্যায় রেখেছে ঘিরে
ছুটে চলি তাই শত মানুষের ভিড়ে
অস্তিত্ব যেন হয়ে যাচ্ছে বিলীন
ঘরে ফিরে শুনি জানোয়ারের চিৎকার
দাঁত খিচকানো হায়নার অহংকার
নিরবে শুনে হাসি হয়ে যায় মলিন।
হাসি খুশি জীবন হয়ে গেছে তিমির
চেতনাহীন ঘোরে করে যাই বিড়বিড়
দেখা হবে কি কালকের সূর্যোদয়
মুছে যায় বেঁচে থাকার সকল অভিরুচি
মৃত্যুর কথা ভেবে আড়ালে দুচোখ মুছি
কেউতো নেই দাড়িয়ে আমার অপেক্ষায়।
বুনো রাক্ষস আর নেকড়ে ফণী ভাইপার
মানুষের সাথে মনসার হয়না সংসার
দুরে থাকাটাই হবে তার শ্রেয়
অসহায়ের কেউ দিতে চায়না স্বান্তনা
আপন জনেও করে যায় তারে বঞ্চনা
বিষাক্ত ফুল হতে নেই করো প্রিয়।
বাবার অবাধ্য ছেলের ঠাঁই হয়না ঘরে
ভাঙ্গা তরী ফিরে আসে কি আর তীরে
চঞ্চলা জীবন হয়ে গেছে আজ বোকা
মিশে গেছে বাবা ভেজা মাটির কবরে
উপদেশ গুলো ভাবি বসে আজ সবুরে
বারে বারেই খেয়ে গেলাম আমি ধোকা।