আমি দাম্ভিকতা আর অহংকারী বটে
আমি বিষধর নাগ ফনি
আমার ভিতরে বইছে পদ্মা যমুনা
আমি ঝরাইনা চোখের পানি।

আমি কলুষিত করি সমাজ দেশকে
পরিবারের দেইনি ছাড়
আমি রক্তপিপাসু হায়নার ন্যায় মনে
দেখাতে চাই চমৎকার।

আমি রাক্ষস আর খোক্কসের মতন
ক্ষুধায় খুঁজি রক্ত মাংস
আমি প্রকৃতির সব জলাঞ্জলি দিয়ে
করে দিতে চাই ধ্বংস।

আমি পাষণ্ড বাবা নিজ সন্তানেরে
নিজ হাতে দিয়েছি বলি
আমি জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরে
দু হাতে বাজাই তালি।

আমি বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা করি
কত তরতাজা খালি বুক
আমি মনের আনন্দে খলখলে হাসি
ক্ষমতা পাওয়ার কি সুখ।

আমি ফাঁদ পেতেছি গণ্ডায় গন্ডায়
সব রাস্তা করেছি বন্ধ
আমি পলকে পলকে সৃষ্টি করেছি
সকলের সাথে দ্বন্দ্ব।

আমি বুলেট দেখিয়ে জুলুম করেছি
ক্ষমতার করেছি অপমান
আমার হিংস্র স্বভাবের পুরুষ্কার পেয়েছি
নাম হয়েছে মহা শয়তান।

আমি বাহুর শক্তিতে ভয় দেখিয়ে
সৃষ্টি করি সদা দ্বন্দ্ব
আমি লোক বলের শক্তি খাটিয়ে
করি কত গাল মন্দ।

আমি পয়সার জোরে উচ্ছেদ করি
অসহায়ের কত আবাসন
আমি অস্ত্রের দাপটে সমাজের মাঝে
এক হাতে করি ত্রাসন।

আমি লোলুপ দৃষ্টির চাহনিতে খুঁজি
সুন্দরী অবলা রমনী
আমি লোভ দেখিয়ে ভাগিয়ে আনি
অন্যের ঘরের ঘরনি।

আমি হারাম টাকার বান্ডিল উড়িয়ে
দেখি বাইজির নৃত্য
আমি ঢকঢক করে মদ গিলিয়ে
দেহকে করি তৃপ্ত।

আমি চরিত্রার্থ করতে ঘরেতে আনি
বাছাই করা কত পতিতা
আমি লেবাস পরে মানুষের ভিড়ে
করে যাই কত ভনিতা।

আমি ঘুষের টাকায় প্রাসাদ বানিয়ে
মসজিদ মন্দিরে যাই ছুটে
আমি অপরাধীর সাথে সখ্যতা জমিয়ে
হালাল হারাম খাই চেটেপুটে।

আমি মুন্ডু ছেঁটে টেকো সেজে
সাজি এক নতুন রুপে
আমি মন্দির গীর্জা কাবায় ঘুরেও
ঝাপ দেই শয়তানের কুপে।

আমি মরা মানুষের কবরে পিটাই
বিবেক বানিয়ে নরপিশাচ
আমি পাপের বোঝা পূর্ন করে
ত্যাগ করি শেষ নিঃশ্বাস।

আমি মানুষ রুপে জন্ম নিয়ে
মানুষ হলেম না তবে
বোকা নির্বোধ লোভী পাপিষ্ঠের
নাম লেখে গেলাম ভবে।