হে গরীব- মধ্যবিত্ত ভয় পেয়েওনা
না খেয়ে মরলেও কেউ খাবার দিবেনা।

সুধাবেনা কেউ জানবে কেউ
কত কষ্টে যায় দিনাতিপাত
ক্ষুদার জ্বালায় পেট বুক জ্বলে
পাড় হয়ে যায় কত রাত।

প্রতিবেশী ধনী বটে,সে তো রক্ত চোষা
দামী খাবার আর ফলমূল খেয়ে
ছুঁড়ে দেয় ময়লা খোসা।

ছেলে মেয়ে আর বন্ধুমহলে
ধনী আত্নীয় নিয়ে সকলে
দামী হোটেলে খায় খাবার,
থালা ভরা কত মাছ গোস্ত
ফেলে আসে সেটা হয় নষ্ট
কারো ঘরে জোটেনা আহার।

বাড়িতে পোষা কুকুর বিড়াল
কাপড় জড়িয়ে রাখে আড়াল
কত সুন্দর তার যত্ন
ঠকঠক কাঁপে শুয়ে রাস্তায়
শীত নিবারন ছেঁড়া বস্তায়
আহারে!  মানুষের হলোনা রত্ন।

বিলাসবহুল কত রঙিন বাড়ি
বছর বছরে পাল্টায় গাড়ি
হাওয়া খেতে উড়ে আকাশে,
ছনের ছাউনি গরীবের ঘরে
বৃষ্টির ফোটা বিছানায় পড়ে
ভেঙ্গে যায় হালকা বাতাসে।

ঘুষ দূর্নীতি জবর দখল
ধনীর কাছে মাফ সকল
বিচার যাদের শূন্য
গরীব তুমি নির্দোষ বটে
মরবে জেলের ঘানি খেটে
তুমি হলে দেশের পন্য।