যদি রমনার বটমূলে হয়
মায়ের জাতির মর্যাদা হনন,
তবে কেমনে করিলাম বাঙলার নব বর্ষবরণ!
কেন মঙ্গল নামক শোভাযাত্রায় হয় শ্লীলতাহানি?
কেন রমনার পার্কে হবে
উৎসবের নামে লাঞ্ছিত রমনী?
কেন হাজার টাকার ইলিশে হবে
আমার বৈশাখী উৎসব,
যদি নর্দামার খাবার দ্বারা
জঠর বাঁচাইবে শত মানব!
যদি লক্ষ টাকার খরচায় হয় ঐ
রাস্তা-দেয়ালের আলপনা,
তবে দরিদ্রের মহা বেদনার সেই
হাহাকার কেন শুনছ না?
কেন পান্তা-ইলিশের মত প্রথা
পালিবে দেশের মানুষ,
যদি এহেন উৎসবে উড়ে
বেহায়াপনার অগ্নি ফানুস!
যদি দরিদ্র শিক্ষার্থীর লাগি অর্থ মাগিয়া
ঘুরিতে হয় দ্বারে দ্বারে,
আবার বৈশাখী উৎসবে দেখো
একবার চাইলেই যেন আসিবে বারে বারে!
যদি শিক্ষালয়ের হীরা মাণিকেরা কভু
পাইবেনা দর্শনী ছাড়,
আবার এই উৎসবে কত করিবে দান
শত সহস্র সেই অবতার।
যদি অন্নহীনতায় মরে
আমার দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী,
তবে কেন নর্দমায় যাবে বিপুল খাদ্য নষ্টি?
যদি দরিদ্র থাকে আবাসনাভাবে
রেল লাইনের ঢালে,
যদি আমার দেশের গরীবেরা ভাসে
বন্যার পানি জলে,
যদি আমার ভূমের প্রাণ ভোমরা কৃষকেরা সহে কষ্ট,
তবে কেন হাজার টাকার ইলিশ কিনিয়া
অর্থ করিব নষ্ট?
কেন বৈশাখী পালনে হবে
লাখ টাকার শাড়ি,পাঞ্জাবী মসৃন,
দরিদ্র মানবেরা থাকে সদাই বস্ত্রহীন?
যদি আমার দেশের গরীবের তরে
জঠর পোড়ানো দাহ্য,
তবে কেন হাজার টাকার ইলিশ ভোজে হবে
বাঙালির সহস্র বছরের ঐতিহ্য??