খোদার সৃজনলীলা বুঝা দায়,বোঝেনা কোনো প্রাণ,
আজি প্রতিজ্ঞিত আমি,রাখিব তাদের মান।
শুনেছি গুরু মুখে,'ভোগে নয়,ত্যাগেই স্বর্বসুখ',
শুধু পিত্যেষি খোদা,তাদেরে দাও অসীম সে মহাসুখ।
যদিও থাকি সান্ত্বনা গাঁয়ে,সান্ত্বনা
মোর থলি,
জানি বুঝবেনা সে মন,শুনবেনা কোনো বুলি।
জীবনের তরে জীবনের চলা এইতো ধরার খেলা,
আমি নীচু নির্মল-বায়ু তাইতো আমার হেলা।
বক্ষ মাঝে অসীম নদী বহিছে সরোবর,
সত্যিই বড় নিম্রিত আমার এ কলেবর।
তবুও সেথায় পাইবে তোমারা,পাইবে অগাধ প্রেম,
হয়ত আমি কর্দম-কণা,তোমরা তো অমূল্য হেম!
হোক সে মেলা নিয়তির খেলা,আমি তো এক মানব,
তাই বলে মোরে গ্রাস করিবে অমোঘ দুঃখ-দানব?
যে জীবন হারে নিয়তির ভারে,রহে তাহা অম্লান,
যদিও জ্বলে কষ্টানলে তাহা,রচিত হয় শ্মশান।
জীবন-সায়াহ্নে এসেও এ মন গাহিবে তাহার গান,
ছন্দে ছন্দে দুলিবে হৃদয়,প্রচারিবে তার শান।
একই অস্ত্র রণক্ষেত্রে,বারে বারে পাবেনা জয়,
একদা হইবে পদদলিত তাহা,মানিয়া লবে পরাজয়।
যুগ-যুগান্তরের সঞ্চিত প্রেম অবিনাশী ভালবাসা,
বিধাতা না চাইলে মিটবেনা কভু,মিটবেনা কারো আশা।
জীবন তরীর বৈঠা বেয়ে যেতে হবে সম্মুখে,
এ যুগে না হোক পরকালে তুমি,থাকিবে স্বর্গসুখে।
তাদেরই মন রাখিতে মোরা করিব আত্মত্যাগ,
মারণ বেলায় চলিব একাই,বরিব সিংহভাগ।
সুখের সাগরে করিতে স্নান নেই মোর কুণ্ঠাবোধ,
আমার আকাশে নাইবা আসুক সে,আসিব তো জলধ!