আজিকে আকাশ অশ্রু ফেলে,কত যে তার দুখ,
অঝোরে সে কাঁদিয়া মরে,বিষন্ন তাহার মুখ।
বুঝিবে না কেহ কষ্ট তাহার,বুঝিবেনা তাহার মন,
চোখের জলে ভাসাইছে জলধি,ভাসাইছে ভূবন।
গগন দুঃখীর অশ্রুতে সবে করিবে স্নান,করিবে খেলা,
তাহার দুঃখে হর্ষ করিয়া ছুটাইবে নাও,ছুটাইবে ভেলা।
মেঘেরা সব কালো দানবের বেশে ছুটিয়া চলে আকাশ পানে,
অনন্তরে তারা কাঁদাইয়া মারে তবুও আঘাত হানে।
শোকার্ত গগন মুক্তি চাহে ওগো জলধ,দিওনা আর বেদন,
যুগ যুগ ধরে কষ্টে পুড়িয়াছে মন,পুড়িয়াছে বদন।
যে মুখে ছিল জোছনার হাঁসি,আকাশের জয়গান,
সে মুখে আজ শুনিয়া ফিরি,বহমিত রাহেজান।
একদা আকাশ কহিত চাঁদেরে এসো,দাও মোরে আলো,
অধুনা কহে চাইনা সে বাতি,থাকুক না আকাশটা কালো!
চাঁদের আলোয় করিছে স্নান,বাধিয়াছে সে আশা,
জ্বলিল না তার সুখের উনুন,রয়ে গেলই ধোয়াশা।
সুখের স্বপ্ন দেখাইয়া বিধু শুনাইল ব্যোমেরে গান,
ভাবেনাই কভু চন্দ্র-বিহনে কেমনে বাঁচিবে আসমান।
দুখের লগনে যদি পাইল না আলো,পাইল না গগন সাথী,
তবে কেন আকাশ দেখিবে স্বপন,মাখিবে চাঁদের ভাতি!
হাজার দুখের পরেও অভ্র,গাহিয়াছে অমা’র গান,
সকল কষ্ট বরিয়া আকাশ,রাখিয়াছে চাঁদের মান।।
যুগযুগান্তরে দ্যুলোকের দুঃখে করিয়াছে জলকেলি,
তাহাদের তরে কত আকাশেরা ভবে,দিয়াছে আত্মবলি।
সুখের স্বপনে কৃষ্ণ এ আকাশ,হইয়াছে কত নীল,
ভাবিয়াছে একদিন হবেই হবে,ঐ বিধুর সনে মিল।