যুগযুগান্তরে কত হিটলারেরা ভবে,মারিল শত লক্ষ মানব,
কত মাওসেতুং আর স্ট্যালিনেরা বধিল অসংখ্য জীবন!
অমুসলিম মুসোলিনী,অশোকা মানবতা খেয়ে রচিল বর্বতা,
তবুও মোরা ইসলামকেই কেন দুষি, করে যাই লাঞ্ছনা?
কেন ইসলামকেই দেবো মোরা,হীন-অপবাদ জঙ্গী,
আবার,হাজার মিলিয়ন হত্যাকারী হয় শান্তিকামীর সঙ্গী!
যারা মানবতা-নামে চষে যায় হাল বসুমতীর জমিজমা,
তারাই আবার নাগাসাকি,হিরোশিমায় ঢালে অভিশপ্ত কালো বোমা!
যারা ধরণী-ধন্য বিজ্ঞানী,আলেমেরে মারে জ্বলন্ত অগ্নিতে,
তাহারাই ফেলে অপবাদের বিষ মুসলমানের পাতে।
মুসলিম কভু করেনা দাঙ্গা,করেনা বাড়াবাড়ি,
তবুও কেন উগ্রবাদীর ন্যায়,করিব তাদের গালাগালি?
যদি নিরপেক্ষতা হয় আমার নীতি,অটল থাকিয়া সন্ধির,
তবে সহস্র বছরের উপাসনালয় ভেঙ্গে,গড়িব কেন মন্দির!
ধর্ম-নিরপেক্ষতা হয় যদি আমার দেশের অঙ্গ-সংবিধান,
তবে গো-কুরবানীর দায়ে ঝুলিবে কেন ফাঁসিতে মুসলমান?
মানবতা বলে গলা ফাটাইয়া চলি হরবেলা সবখানে,
তবে মাংস ভোগের অপরাধে কেন মুসলিম-নীড়ে আঘাত হানে!
ঈষৎ সময়ের আযান-ধ্বনি ভাঙ্গে যদি মোর,শান্তি ভোরের ঘুম,
তবে অগণিত উৎসব,কনসার্টে কেন বাঁজিবে ঢোলের ধুম!
কেন সুমধুর আযানের সুর হবে মোর পানে,বেসুরো-কর্কশ,
যদি বর্বর-কলহ তান লোকে সহে চলিছে বারোমাস!
কেন ঘন্টা দুয়েক মাহফিলে হবে প্রকৃতির শব্দ দূষণ,
তবে সপ্তাহজুরে চলিবে কেন ভূকম্প প্রতি শর্বরী-সাবন?
পৃথ্বীব্যপী যদি মানবেরা থাকে ভ্রাতৃসম,মানিয়া সর্ব সন্ধি,
আমরা কেন করিব সদা মুসলিম মারা ফন্দি!