মায়াবিনী তুমি নিস্তব্ধকারী
চঞ্চল হৃদয়ের,
মায়াবতী তুমি হেলিত মনে
পূর্ণচন্দ্র আকাশের।
প্রিয়া তুমি এই ছোট্ট মনের
প্রেরণার হাতে খড়ী,
তোমায় লইয়া চড়িব মহাপাড়ে,
সাঁজাবো আমার বাড়ি।
রেখেছি তোমায় হৃদয় গভীরে,
ভুলিবার তরে নয়,
ভুলিবনা কভু তোমার স্মৃতি
যদিও হইগো লয়।
শুনে নিও তুমি এই হেলিত যুবকের
অগণ্য বাসনার বাণী,
জেনে নাও সকল কার্যকারণ
দূরে রেখে সব গ্লানি।
বুঝে নাও সকল শব্দবুলি
কি আছে মোর প্রাণে,
কি আছে মোর সকল কথায়,
কি আছে মোর গানে।
শুনি আমি যবে ঐ সুমিষ্ট কন্ঠের
অবিরত কথার তান,
মনে হয় যেন শুনিতেছি কোনো সুরেলা
বা সুকণ্ঠী পাখির গান।
যখনই আমি দেখেছি তোমার
মায়া ভরা দুটি আঁখি,
তবাদি আমার ঘুমেরা সব
দিয়াছে মোরে ফাঁকি।
সখী তোমার ঐ হাতটি ধরে
যেতে চাই বহুদূরে,
ভালোবাসার সর্ব প্রাসাদ
গড়িব মম-মন্দিরে।
যাও চলে যদি কভুও তুমি
মহৎ আলোর নীড়ে,
করিবেনা আর এই অপয়ার খোঁজ
সহস্র লোকের ভীড়ে।
চাহিবেনা ফিরে এই আঁধারিত আর
মেঘাচ্ছন্ন আকাশে,
ভাবিবেনা আর এমতি আমারে
স্মরিবেনা নিশির শেষে।
শোনাবেনা আর অমূল্য বচন
দেখাবেনা আশার বাণী,
দেখিবেনা কভু আমার রোদন
মুছিবেনা আঁখির পানি।
তবুও আমার সকল হাঁসি
তোমাকেই নিয়ে মানি,
তাইতো আমি দিয়ে যাব সদা
তোমারই বিজয় ধ্বনি।