আমি অমাবশ্যার তরী যাবোনা কভু
ঐ মহতী চন্দ্র-পাশে,
হবো পিষ্ঠ আমি,হবো ভগ্ন সবই ছিন্ন করি
রয়ে আঁধারের তীর ঘেসে।
চাইনা আমি ছুটে যাক ও বাঁধন
যদিও পাই ছুটি সুরম্য ধরা থেকে,
আমি নষ্টকে বিনষ্ট করি তবু,
সরলকে বাঁকা করে সুপথে গমি বেঁকে।
আমি আমার মত চলি কেউবা আসে যদি
পথে আমার বাধা হয়ে,
মানি না কোনো বাধা,শুনিনা কোনো কথা
অবিরত চলি ধেয়ে।
নয়তো হিংসিকা কিবা দম্ভ-অহমিকা
এ মন-গহীনতার বাণী,
এ বনমাঝে আর আসিবেনা সুরভী কভু
অন্তর দিয়ে তাহা মানি।
আঁকিনা মলিনতার ছবি,করি সুখের দাবি
নাঁচি বিষণ্নতা ভরা গানে,
এমনও লগনে প্রাণ বাঁজায় কিসের সুর
বোঝেনা কেউ তার মানে।
যাবোনা কভু সেথা,পাবোনা বিন্দু ব্যথা
পুড়িবনা স্নিগ্ধার ঐ কোলে,
খুঁজিনা জীবন-মানে,বরিণা হিয়ার হিতে
পুড়িছে সদাই তা মম-মাঝে অনলে।
আসেনি সন্দেশ কভু তাই হয়েছি নিরুদ্দেশ
আমি যেতে চাই মহা-পাড়ে,
নেই বিভেদের বাণী,উঁচুনিচু নীতি
তাই,মন ছুটেছে ঐ ধারে।
জোনাকি আলোর ভেলা করিছে নিয়ত খেলা
দেখো চন্দ্রের চারিধারে,
শুধুই আসে ছলন,আসেনি ইন্দু-রোশন
শোকেরাই থাকে ঘরে।
আলোতে নূরের মেলা,সবিতা করে খেলা
খুশিতে ভরা তাঁর অবনী,
তবু,আসেনি কোনো বাতি,উঠেনি নতুন রবি
আঁধারে ঢাকা এই রজনী।
নেই অভিযোগ চাঁদের প্রতি কোনো অনুযোগ
নেই বিদ্রুপের কোন কথা,
আছে আশির্বাদ অবিরত দোয়া মোর পানে
আছে অগণিত প্রেম হেথা!