বৈশাখ মাসে কাট ফাটা রোদ
আম আর কাঁঠাল পাকে,
কাল বৈশাখির কালো মেঘে
ঈশান কোনে ঢাকে।

ভেপসা গরম জৈষ্ঠ্য মাসে
গরম হাওয়ার আঁচে,
রসে ভরা তরতাজা ফল
পাকা লিচু গাছে।

আষাঢ় মাসে বৃষ্টি-বাদল
আকাশ মেঘে কালো,
পাকা জামে মুখ রাঙাতে
সবার লাগে ভালো।

শ্রাবণ দিনের সকাল-সন্ধ্যা
অঝোর ধারায় ঝরে,
ডুবা-নালায় জলের খেলা
কানায় কানায় ভরে।

পাকা তালের রসের পিঠা
পাই যে ভাদ্র মাসে,
তারায় ভরা রাতের আকাশ
চাঁদের আলোয় হাসে।

নদীর ধারে আশ্বিন মাসে
কাশবনে ফুল ফুটে,
শিশির ভেজা প্রভাত বেলায়
শিউলি ধুলায় লুটে।

শুকায় পানি কার্তিক মাসে
আমন কাটে চাষি,
কাদা বিহীন মেঠো পথে
রাখাল রাজার হাসি।

পিঠা-পুলির ঘ্রাণে ঘ্রাণে
অঘ্রাণ আসে ছুটে,
ধান ছড়ানো মাঠে-ঘাটে
ধুলোয় লুটেপুটে।

শীতের বুড়ি পৌষে আনে
খেজুর রসের হাঁড়ি,
হলুদ বাটা সরষে ফুলে
মন নিয়ে যায় কাড়ি।

মাঘের শীতে ডরায় বাঘে
ঝরে গাছের পাতা,
গরিব মানুষ আগুন পোহায়
গায়ে জড়ায় কাঁথা।

ফাগুন আসে ফুলের ডালায়
ভ্রমর উথাল গানে,
শুভ্র লালে শিমুল-পলাশ
বিধাতারই দানে।

চৈত্র যদিও খরায় খরায়
আপন রূপেই আসে,
রূপবতী বাংলা আমার
বারো মাসেই হাসে।


রচনাকাল- ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং
মুন্ডা, উত্তর খান, ঢাকা।