চলে যাবো- দূরে বহু দূরে
অজান্তে,অবেলায়-অন্ধকারে।
নিশীথের ঘোর কেটে- প্রভাতের আবছা আলোতে
গৌধূলীর ধূলোমাখা পথে- অজান্তে অবেলায় চলে যাবো।
দক্ষিণা বায়ুকে সঙ্গি করে- নীল লৌহিতে নাও ভাসিয়ে
তেপান্তর থেকে তেপান্তরে, -মিশে যাবো পর্বতের ঘায়ে।
--বলে রাখলাম, চলে যাবো- দূরে বহু দূরে।
সেদিন জোৎস্নার ভরা রশ্মি থাকবে হয়তো
থাকবে উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি- রাতের ধ্রুবতারাটাও
পোষা ময়নাটিও কি’বা মলিন ছায়াটিও হয়তো থেকে যাবে ।
শুধু আমিই চলে যাবো, দূরে বহু দূরে।
মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসবে হয়তো
মন্দিরের ঘন্টাটিও ভেজে যাবে অভিরাম
ত্রিপিটকের পাঠও চলবে ক্লান্তিহীন
হয়তো আমিই শুনবো না
চলে যাবো, দূরে বহু দূরে, অজান্তে-অবেলায়।
ঝিঝির ডাকে সেদিনও সন্ধ্যা নামবে হয়তো
স্তব্দ হবে হয়তো জোনাকিরা, প্রাঞ্জল পাখিরাও বিষন্ন হবে
হয়তো সেদিনও ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা হবে
--শুধু আমিই ফিরবো না।
কষ্টগুলো বারে বারে আসবে ফিরে
উত্তরের ঘা ঘেঁষে-কুঁয়াশায় ভর করে।
বলে যাবে একটি কথাই- সুখে থেকো
খুব সুখে থেকো- বড্ড বেশিই সুখে থেকো।
ভ‚লে যেও, ক্ষণিকের মায়া-ভগ্ন হৃদয়ের আবেগ
সুখের স্মৃতিগুলো।
শুধু বিষন্ন বিরহের ব্যকূলতায় হারিয়ে যাবো আমি
অজান্তে -অবেলায়, দূরে বহু দূরে।