আকাশ জোড়া কালপুরুষের ফর্সা নারী
চাই শুনে তাই দুখ পেল ভাই মেঘের দেশে
মেঘের দেশের রূপগরবী রাজকুমারী
আকাশ জুড়ে ছাইল যে তার কুঁচ কালো কেশ।
সাগর খালি হাসলো, বললো রঙ্গ দেখ
আমার দাবি কেউ শোনে কি চাইছি কতই,
আকাশ রানীর একটু ছোঁয়া কবের থেকে,
যেই ছুঁতে চাই যায় সরে যায় দূরে ততই।
আকাশ বলে পাগল নাকি কে যায় কাছে,
নেই কথা নেই বার্তা কিছু, কেবল নাচে,
গভীর রাতে দেখনু একটু কিনার ছুঁয়ে,
তোদের সাগরবাবুর মাথায় প্রচুর ছিটই আছে !
নদী একটা ছোট্ট মতো ফুল কুমারী
বললো সাগর দাদা কিন্তু ভীষন ভালো,
কাছে গেলেই সোহাগ ভরে আদর কত,
রাত্রে জ্বালে ঢেউয়ের মাথায় সবুজ আলো।
এসব দেখে বলল মাটি, থামত সবাই,
শোনা কথায় কাজ কি তোদের, দেখ শুধিয়ে,
কালপুরুষ বা ঝালপুরুষ হোক বাচ্চা আমার,
এমন রুচি কক্ষনো নয়, দিব্যি দিয়ে।
গভীর রাতে আকাশ জোড়া বিশাল পুরুষ
উঠল যখন, মগ্ন সে এক মেঘ বালিকা -
মুক্তকেশী সব্বনাশী ধরল মেলে,
তারায় ভরা কালো আঁচল, হৃদ পালিকা!
অমনি অবাক, বিশাল আকার কে কার পুরুষ,
লুকায় কোথায় মেঘ বালিকার আঁচল ভরে,
যতেক ভালোবাসার তারা সমস্ত রাত,
আকাশ থেকে সাগর হয়ে পড়ল ঝরে।
বেবাক সুবাস মাটির গন্ধে নিমন্ত্রণে
মাটির খোকাখুকু কেউ তো বাদ যাবেনা
সাদাকালো মন্দ ভাল সব একাকার
মানব জমিন করলে আবাদ ফলবে সোনা।