কেউ কি বলেছিল, কখনো দেখেছে সে
আকাশ নাকি এক মন,
পাগল খুঁজে ফেরে, শুধিয়ে জনে জনে
তাই তো এক জীবন
সাগর হবে বলে, নদী সে বেগে চলে
লহরী ছিল চঞ্চল
ছড়ানো মনগুলি কেড়েছে কথাকলি,
হঠাৎ নীল অঞ্চল
বাঁকে তো বাঁকে মন, হঠাৎ অকারণ
বাঁশীটি বাজে নাতো সুরে
জীবন থেমে পথে বেবাগা মনোরথে
দুঃখপাকে ঘুরে মরে
ব্যাথার বড় ধাঁধা, অবুঝ মন সাধা
হৃদয় ধোয়া আঁখি জল
রাত্রি জেগে কবে কবিতা কেন কবে
রক্তমাখা শতদল !
এখানে বিন্দুতে রক্ত বিন্দুর
জমানো সিন্ধুর ঋণ
যে গেছে, গেছে সে, রক্তে দিয়ে টান
ধৈর্য কেন সঙ্গীন
কালোয় কালো মন, কেন যে অকারণ
ঝরায় অশেষ বরিষণ
ব্যাথার ধাঁধা ব্যথা, হাজার এক কথা
বোঝে না অবুঝ মন
গেলি তো গেলি তুই, দু পায়ে দলে গেলি
হাজার অসুরের ছল
রক্ত ঢাকা চোখে, দশমী কেন ডাকে
মায়ের মুখ অবিকল
অন্তহীন আমি, হঠাৎ গেছে থামি
সন্ধি পুজোর এই দিন
জানো কি জানো না কি, ফেরত দেওয়া বাকি
জমানো জন্মের ঋণ !
আকাশজোড়া চোখে, তিনটি আঁখি আঁকে
প্রশ্ন চিহ্ন একটাই
মাটিতে পিষে দলে, কত মা মরে গেলে,
জাগবে মানবতা ভাই ?