দশদিক ছুঁয়ে বসে আছো - দাবানল
ছককাটা বাঘবন্দী সময়ের - প্রতিবন্ধী দৌড়
রক্তে মরুৎ এসে চুপি চুপি বলে যায়-
থাকবে না - বয়ে যাবে সব, সব
আকাশের মত উদার হতেই হবে -
আমাদের, তোমাদের, তাহাদের সব -
সময় সে ধুয়ে দেবে আপামর ঘৃণার উঠোন - শেষবেলা !
সময়, আমিও হাওয়ার মতো উদাসীন হবো,
আকাশের মতো এক, একা -
কারো নয়, কারো নই - কেহ নই, কোনোদিনও আমি !
এখনো তো কিছু নীল, ধার করা তবু
উজ্জ্বল ইজেলে পুরোনো তুলির গায়ে -
অকারণ বিতংসে মিটিমিটি হাসে -জীবন !
পেতেছে কেমন ফাঁদ, অকলংক স্নান ঘাটে
অবিব্রত গামছার ভাঁজে, অস্ফুট কিশোরী কুঁড়িতে - অকারণ !
এখনো পৌষের মাঠে নুয়ে পড়া ওষধির ঘ্রানে
অদ্ভুত কামগন্ধে ঝিঁঝি মাতে ঝিঝিনির প্রেমে -
নিরালা আঁধার হলে - তারাদলে লেখা হয় নাম
আমাদের তোমাদের তাহাদের কথা -
অবশিষ্ট আকাশের শুষে নেয় ওম - জ্বলে পূর্নকাম – তারাদল !
ফজরের গায়ে গায়ে শিউলির হেঁটে যাওয়া ঝাপসা সুবাস - জীবনের ভাপ !
মূঢ় নিমরাজী, শ্মশানের ঠান্ডা কাঠ - ফিরে যায়, ভোরের হাওয়ায়
বলে যায় - কেউ নয়, কারো নয় - কোনোদিনও কেউ কারো নয় !