কোনো কিছুই আর পরিপূর্ণতা পায় না আমার করুণ হাতে,
বিন্দু বিন্দু মেঘ,
বৃষ্টি,
শিশির অবিরত
সব যেনো ফিরে আসে
দিন রাত্রি আর সন্ধ্যা জু’ড়ে।
তোমার মুখ ম্লান স্মৃতি, আমার
রচিত ধারায় ভেঙে চূড়ে কতো
রাত গেছে নিদ্রাহীন, দু’চোখ
রাখি বন্ধ, সবাই চ’লে গেছে
পূর্ণিমার আলোয় স্বপ্নের গভীরে।
আমি একাকী জেগে রই,
দগ্ধ হই;
গভীর মনে নিঃসঙ্গে, আমার
সব স্মৃতি ম্লান, বিবর্ণ তার কোমল দেহ,
কৃষ্ণচূড়ার নরম সুরে।
বেঁচে কি ছিলাম ?
মানুষের হৃদয়ে আর তার উজ্জ্বল শরীরে !
আমার দেহ আজ অসম্পূর্ণ,
সব শিহরণ, স্পর্শ, মূল্যহীন, ঘাসে
আর ঝলমল দেহে।
মাঝে মাঝে কেঁপে উ’ঠি মাঘের বাতাসে।
লুপ্ত হই তার মাঝে;
গভীর জ্যোৎস্না আর লবঙ্গের হিম জলে।
বুক ভ’রে নিই সৌরভের সুগন্ধ,
কোমল আর রক্তের শরীরে।
আমার নদী, চাঁদ,
শিশির, শ্রাবণের ঢেউ
সবই যেনো ইন্দ্রজাল;
কোমল নীলে, সমস্ত শরীর জীর্ণ
তার অভাবে লৌকিক চোখে।