মাঝে মাঝে সন্ধ্যার আলোয় শুভ্র জ্যোৎস্না ছড়িয়ে প’ড়ে আমার বুক থেকে,
কোনো ভালোবাসার সুতীব্র অভাবে; দুঃস্বপ্নের ভেতর তাকে আপন ক’রে রেখে
দিই উজ্জ্বল সৌন্দর্যে, নিবিড় অন্ধকারে গ’ড়ে ওঠে পৃথিবীর ব্যর্থ সম্পর্ক গভীর
শূন্যতায়, মেঘের লাল-নীল দিগন্তে, শিশিরের ফোঁটায় ভ’রে যায় আমাদের সমস্ত
পথ রাত্রির নিঃশব্দতায়, ঠাণ্ডা হাওয়ায় হিম হ’য়ে উ’ঠে আমার কোমল হৃদয়,
তোমার কঠিন আহ্বানে, হারিয়ে ফেলি রাশি-রাশি নীল স্বপ্ন রক্তিম মৌন ঠোঁটে,
সাদা মেঘ ছড়িয়ে প’ড়ে দিনের ঝিলিমিলি রোদে, দিঘির নীল জলে ভেসে উ’ঠে
তোমার কঠিন মুখ কল্পনার দীর্ঘ ছায়ায়, সংগীতের সব সুর মুছে যায় নক্ষত্রের
রাতে আমাদের গভীর ভালোবাসায়, আবার নিরর্থক মানুষের মতো প’ড়ে রই
সবুজ ঘাসে তোমার চোখের ভেতর, নরম শরীরে মিশে যাই রক্তের অনুভবে,
স্তব্ধতা খেলা ক’রে বিবর্ণময় শুভ্র কালো রাতে, আমি সাড়া শরীরে একে দিই
প্রাজ্ঞতার কঠিন চিহ্ন যুগ-যুগান্তরে, পালতোলা নাউয়ের মতো ভেসে যাই
ঢেউয়ের বাঁকে-বাঁকে জলের কঠিন শব্দে, সব সুর মিশে যায় শব্দহীন হৃদয়ে,
সোনালি বৃষ্টির মতো ঝ’রে প’ড়ে আমার সকল কষ্ট কয়েক মুহূর্তে নিবিড়