আমার আশ্চর্য আকাশে প্রস্ফুটিত জ্যোতির্ময়
চাঁদের বিচ্ছুরিত আলো;
ভ’রে আসে উদ্যান,
পুরাতন শহরের অলিগলি,
গাড়ির জানালা, পুরানো
স্থাপত্য; প্রলাপ জুড়ে কণ্ঠস্বর, দীর্ঘ
পথ জুড়ে লাল আলো।
প্রবাহিত ধারায় সেই মিষ্টি চাঁদের আলোর
করুন সুর লেগে রয়েছে আমার
বুকের গভীরে; যার প্রতিটি ছন্দ
যেনো মধুর ধারা। শিশির, মেঘ,
রৌদ্র, বৃষ্টি সব কিছুকে ভেদ ক’রে
উল্টে পাল্টে দেয় সবুজ ঘাস,
লুটিয়ে প’ড়ে আমার শহরের রুপালী আলোয়।
কখনো আবার তা দেখা দেয় মায়াময় শীতল প্রতীক্ষায়,
রূপান্তরিত হ’য়ে যায় দুর্লভ
পাথরে, কঠিন অনুতপ্ত শরীরে মেঘের আড়ালে জন্ম নেওয়া,
অপার্থিব সৌন্দর্য, শহর, ধূলিকণা,
শিশির, মৃত্যু আর হৃদয়ের ক্ষতবিক্ষত রচিত
স্পর্শ থেকে পাওয়া আমার কোমল সুর।
রক্ত গোলাপ; ম্লান ক’রে
আমার সুশোভিত গৃহ,
সব যেনো হ’য়ে উ’ঠে এক বিষাদের চিহ্ন।
আমার নিদ্রাহীন রাতগুলো ব্যর্থ হয় রুপালী স্নানের
যোগ্য জলের অভাবে। যা কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের
অবিরাম ধারা। দিনের পর দিন আমি
নিদ্রাহীন; উজ্জ্বল আলোর অভাবে
বিনিদ্র শয্যায় স্বপ্নের সাথে চলে
কথোপকথন; আমার মৃদু আঙুলের কোনায়
জ’মে থাকে রচিত অমর
পঙক্তিমালা। বাতাস, তরঙ্গমালা, ধুলিকনা,
উজ্জ্বল সুগন্ধি সব কিছুতে
মর্মে মর্মে ফিরে আসে আমার জ্যোতির্ময়
মিষ্টি চাঁদের আলো। বৃষ্টি
ঝ’ড়ে, নগ্ন পথে, শীতল আর মৃত্তিকায় জন্ম নেওয়া,
আশ্চর্য গোলাপে,
আমার শরীর, আমারই স্ট্যাচু, নগ্ন মূর্তি।
বাহু আর বুকে জেগে রয়
উজ্জ্বল প্রেম, বিষণ্ণ আমি, একাকী সরোবরে
গোধূলির বিশাল সৌন্দর্যে
কাটিয়েছি শৈশব।
আমার কণ্ঠস্বর; বাহু আর সৌরভময়
শ্রুতিতে তার-ই
চিহ্ন। বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটায় ব’য়ে চ’লে
আমারই অশ্রুমালা। গ’লে
প’ড়ে সব চেতনার রঙ পর্বত চূড়ায় আজ সন্ধ্যায়।
কে আমাকে দিবে সর্বদা তার অমল
সৌন্দর্য, আঁখিজুড়ে বিস্তৃতভূমিতে,
নক্ষত্রমালায় রচিত
বিষণ্ণ বুকে; জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ আলোয়
আঁখি কোণে নিঃসঙ্গতার করুন সুর।