শ্রাবণের কোনো স্নিগ্ধ সন্ধ্যায়; মসৃণ কেকটি তোমারই
নামের অক্ষর ধারণ ক’রে; তাকিয়ে আছে তোমারই দিকে,
জনহীন নিভৃত নিঃসঙ্গ তরুণী, পদ্মকোমল, বিকশিত উজ্জ্বল
জ্যোৎস্না, যে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়; কোমল আর
স্নিগ্ধ হ’য়ে; রাশি রাশি গোলাপ, কামিনী, রক্তজবা, প্রোজ্জ্বল
অর্কিড-এ ভ’রে উ’ঠে আপন আলয়, নির্ঝরের দীপ্তিময় দ্রুতি,
আমার হারানো সুর, শুক্ল পক্ষের তিথি, প্রজ্ঞাময় গভীর নির্ঝর
ভালোবাসা, যাকে মসৃণ তাঁতের শাড়িতে সবচে ভালো মানায়,
ধারালো ছুরিকা হাতে, অপেক্ষা শুধু ইশারার, পৌরাণিক সব
কাহিনী আজ পারলৌকিক; আবর্জনাময় চন্দনের প্রলাপ, তবে
সু-সম্পন্ন হ’বে সব আয়োজন, সুধাময় স্মৃতিতে যা অম্লান;
আজ মধ্যেরাত অবধি চলবে হাস্যজ্জ্বল প্রগাঢ় অঘ্রাণের স্মৃতি।
রিস্টওয়াচ দিয়ে যাবে সময়; কেঁপে কেঁপে, অলৌকিক বিমর্ষ,
নির্বাক মন খেয়াল নেই সেদিকে; অমরাবতী আমার, বিমূর্ত সুর,
একদা এমনই কোনো এক জ্যোতির্ময় লাল মেঘের দিনে, যে
প্রণয়ী তোমাকে বলেছিল, ‘রক্তকোমলের মতো তোমার অধর’ !
সে আজ কোথায় ? যার সব কথাই তোমার কাছে দীপ্তিময়
সুরের কম্পন ছাড়া অন্য কিছুই মনে হয় নি, তার সব কিছুই
ছিল তোমার কাছে প্রজ্ঞাময় প্রস্ফুটিত বিকশিত ধারা, এমন
কিছুই ছিল না; যেখানে মুগ্ধতা প্রকাশ করোনি ! রক্তচন্দন
বিছিয়ে সুমধুর সুরে তুমি আজ স্তব গাও অন্য কারো !
হারানো স্মৃতি আজ তোমার কাছে; অতীতের কোনো হাজার
বছরের, নষ্টভ্রষ্ট পৌরাণিক অম্লান উজ্জ্বল হারানো কাহিনী।