নক্ষত্রবীথি, ভাবনার মহাশূন্যতা; নিঃসীমশূন্য তার অন্তরীক্ষ সুরলোক; চিত্তের
সপ্তলোকে অজবীথি; সন্ধ্যাতারায় মিশে যায় উত্তরফাল্গুনী জ্যোতির্ময় নক্ষত্রপুঞ্জ;
আকাশতল মিশে রয় স্মৃতির দিগন্তরেখায়; ধনবতী তার নক্ষত্রখচিত চন্দ্রিমায়,
সুধাময় ঘনবীথি; অনলশিলা দিকে দিকে; শীতময়ুখ আবর্তন কৃত্রিম স্রোতস্বতী,
নির্ঝরিণী, তরঙ্গিণী ছুঁয়ে যায় দিব্যনদী; জলতরঙ্গে ঊর্মিল পুঞ্জমেঘে স্বৈর মেঘমগ্ন
বৃষ্টিরধারা হ’য়ে উ’ঠে শিশিরকণায় অঝোর রাত্রিজলে হিমাচ্ছন্ন প্রবালদ্বীপে মুগ্ধ;
রুপান্তরিত শিলা ব’য়ে যায় পর্বতশৃঙ্গ দীপালোকে, প্রদীপ্ত আলোকে দ্যুতির স্ফূর্তি
বিচ্ছুরিত, বিকীর্ণ সূর্যালোকে, প্রোজ্জ্বল সমুজ্জলে; মেধার হিমবাহে নির্জীব প্রান্তর;
জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আমার হারানো অমানিশি; নীলকমলের শ্বেতপদ্মে অশ্রুসিক্ত
হারানো দিনের বিষাদগ্রস্ত, আবার ফিরে আসে গাম্ভীর্যময় সৌন্দর্যে, ব্যাকুল স্লিগ্ধ
অমল শরীরে; নিশিকান্ত ছুঁয়ে যায় আমার ভরা পূর্ণিমা তার মাধুর্যে টলমলে জলে;
তরঙ্গিণীর সব ধারা ব’য়ে চ’লে অকূলপাথারে, সন্ধ্যা নদী ব’য়ে দিই নির্ঝরে মেঘে,
বৃষ্টির ফোঁটায় ভ’রে উ’ঠে অমল আঁখিকোণ অম্লান হিমবাহে; প্রজ্জলিত ভাবনার
তুষারে, হিমাচ্ছন্ন দ্বীপপুঞ্জে রূপান্তরিত শিলায় গেঁথে রাখি পবিত্র শ্লোক স্ফুটের
স্বরে আলোকোজ্জ্বল দীপাবলি নিভে আসে রৌদ্রালোকে জ্যোতির্ময় দ্যুতির রশ্মি;
পরিস্ফুট চেতনা সৌন্দর্যের রঙে জ্যোৎস্নালোকে ফু’টে রয় সবুজ উদ্ভিদ দীর্ঘ কুঞ্জে
নবপল্লবে রৌদ্রহীন ছায়াস্নিগ্ধ স্বর্ণলতা তার বাহুতে, সন্ধ্যামালতী ঝ’রে প’ড়ে দেহে,
নিদ্রাহীন আমি শিশিরের জলে, অতীন্দ্রিয় অনুভুতিতে নৈশব্দ্য বেজে যায় শ্রুতিময়
সুরে; সুগন্ধ ছড়িয়ে প’ড়ে রৌদ্রকরোজ্জ্বল মধ্যেদিনে শূন্যতার নিঃশব্দে; ধ্বংসস্তুপে
বিলীন হয় রচিত কালস্রোতের শাশ্বত পৌরাণিক কাহিনি নিশীথিনীর গোপন ঘরে;