অন্ধের মতো পা রাখি, শত পথ হয়তো আমাকে অতিক্রম করতে হবে জীবনভর;
ডুব দেই নিজের মাঝে, স্বপ্নের গভীরে, তীব্র ক্ষোভ জ’মে উ’ঠে
রক্তের হিমে, ঐন্দ্রজালিক আলোয় বসে থাকি, সবুজ বাতাস আমাকে নিয়ে যায়
রুপালী স্বপ্নের গভীরে, বৈচিত্র্যময় মুহূর্তে হারিয়ে ফেলি গাঢ় নিঃসঙ্গতা;
বু’কের গভীর থেকে নেমে প’ড়ে শক্ত পাথর নীল সমুদ্রে,
যাদের রোপণ করেছি মনের কিনারায়, শিশিরের জলে-
পূর্ণিমার আলোয় ম্লান হ’য়ে উ’ঠে ধূসর সন্ধ্যায় জীবনের মানচিত্রে,
ঠোঁটের ছোঁয়াও বিষাক্তে পরিণত হয় সুগন্ধময় আকুল হৃদয়ে;
নির্বিকার চেতনায় তাঁদের আর বেঁধে রাখি না- মোহিনী অন্ধকারে
শত কথার ধারায় যাদের গান বেজে উ’ঠে অমল ধারায় সুরে-সুরে;
আমার শব্দের সম্ভারে, প্রতিধ্বনি হ’তে থাকে সেই কণ্ঠস্বর-
নক্ষত্রের আড়ালে, মর্মর ধ্বনি সর্বত্র মিশে থাকে অবিন্যস্ত মুগ্ধতা-
রাতের হারানো অপূর্ব সৌন্দর্য, জ্বেলে উঠা লাল আগুনে নিসর্গময়
নিস্তব্ধে উত্তপ্ত হ’তে থাকে আমার বিগলিত জ্যোৎস্না প্রবাহিত
শরীরের অলৌকিক শুভ্রতায়, শাশ্বতীর স্বপ্নচিত্তে একে যাই অস্তিত্বে;
ক্লান্ত দেহে নিদ্রিত আমি, বিলুপ্ত ভেজা ঠোঁটে কেঁপে উ’ঠে শাদা মেঘে
নক্ষত্রের প্রতীক্ষায় ধু’য়ে যায় প্রোজ্জ্বলের ক্ষত নষ্ট শরীরে; ফুটে উঠা শুভ্রতায়
হিম ছড়ায় রক্তকোমল বিস্ময়কর আশ্চর্যজনক লীলাভূমিতে, শিশিরে ছুঁয়ে যায়
ক্ষণে-ক্ষণে তরঙ্গের আঘাতে, বিস্ময়ে ইন্দ্রিয়ে গ’ড়ে উ’ঠে আঁধারের অশ্রুকণা,
রাত্রির আকাশে স্রোতে ভেসে যায় লাবণ্যের উচ্ছ্বাস আমার জ্যোতির্ময়
ভাবনায় তারা বেড়ে উ’ঠে ভর ক’রে, অন্তরালে জন্ম নেয় আশ্চর্য
অতীন্দ্রিয় সুর, মুগ্ধময় অরণ্যের গভীরে উজ্জ্বলতর খরস্রোতে,
প্রাত্যহিক জীবনে, নিঃশেষ মুহূর্তে ভালোবাসি নিস্তব্ধতার সুর অক্ষরে-অক্ষরে;
কবিতার শরীরে গেঁথে দেই প্রেমের পবিত্র পঙত্তি নয়নের কানে,
ফাল্গুনের হাওয়া গেয়ে যায় গান নিস্তব্ধতার সুরে-সুরে স্বপ্নহীন বু’কে
ভেঙে যায় সব স্বপ্ন আমার আরক্ত হৃদয়ে কোমল স্পর্শে;
স্বপ্নের দেয়ালে গেঁথে রাখি; অন্ধকার নদীর ছায়া দিগন্তের স্রোতে
নিস্তব্ধতার সুর, তুমি আমাকে ছুঁয়ে যাও রুপালী জলের মেঘের ছায়ায়।