মনে প’ড়ে না তোমার কথা, খুব বেশী যে চেষ্টা করেছি তাও নয়-
ভাবনার সাথে মিশে থাকি একান্ত হ’য়ে, গভীর বু’কে জ’মে থাকে অনেক
আবর্জনা শতাব্দীর অমল শিশিরে, সান্ত্বনা দিয়ে তাদের ঘুমিয়ে রাখি
আলতো ক’রে মনের কোণে; নিসর্গ সন্ধ্যায় ঝ’রে প’ড়ে নীল জ্যোৎস্না আমার
বারান্দায়, রক্তজবা তার ডাল বিছিয়ে দেয় কোমল হাতের নিবিড় স্পর্শে;
হারিয়ে ফেলি সৌন্দর্যের সকল অর্থ কবিতার পাতা থেকে রূপসীর দীপ্ত চোখে,
ঘুমহীন সারা রাত কেটে যায় অমল জ্যোৎস্নার সবুজ বাতাসের কোমল ঠোঁটে;
আমার দু’চোখ থেকে কেঁপে-কেঁপে ঝ’রে প’ড়ে শ্রাবণের জল শিশিরের ছোঁয়ায়
ঘাসের সবুজে তাদের বাঁচিয়ে রাখি গাঢ় অন্ধকারে, অজস্র স্বপ্ন ভেঙে যায়
চন্দ্রালোকের জ্যোতির্ময়ে, স্বরহীন আমার সমস্ত বাক্য খুঁজে ফিরে গভীর স্তব্ধতা
তীব্র ভালোবাসায় মিশে যায় গাঢ় উপলব্ধি, সুগভীর ভাবনার সাথে স্মৃতিরা
মিশে থাকে বিস্ময়রূপে; সৌন্দর্যের অর্থও যেন বিলীন হ’য়ে যায় মুহূর্তে-
হৃদয়ের গভীরে শুধুই শূন্যতা, সুনিপুণ হাতের মুঠোয় লুকিয়ে রাখি অলৌকিক
স্বপ্নগুলোকে, বিন্দু-বিন্দু আলোক রেখা জ্বলে উ’ঠে উজ্জ্বল সন্ধ্যা নদীর ধারে;
তাকিয়ে থাকি সেই সব বিস্ময়ের দিকে, প্রাগৈতিহাসিক নীলিমার ঐশ্বর্যে
উজ্জ্বলতা ছড়ায় প্রতিভার স্নিগ্ধ গভীরে, নিবিড় আলিঙ্গনে মিশে থাকে
শরীরের সুগন্ধ শিল্পকলার কোমল স্পর্শে, জ্যোৎস্নার বাতাসে দুলতে থাকে
শব্দহীন আমার অনিন্দ্য গন্ধরাজ, শ্রাবণের ঢেউ তাদের মিশিয়ে দিয়ে যায়
শূন্যতার গভীরে, উজ্জ্বল আকাশে উ’ড়ে বেড়ায় নীলিমার নক্ষত্রপুঞ্জের
ঐশ্বর্য অবিরত, গভীর সন্ধ্যায় নরম হাত ছুঁয়ে যায় আমার কোমল বু’কে।