ফিরে ফিরে বাতাসের কানে আসে কোমল সুর, যা কিছু আমার আপন ব’লে
মনে হয়, দু’চোখে গেঁথে থাকে উজ্জ্বল সৌন্দর্য, আমার মৌলিক ভাবনায়,
শুভ্র শ্রাবণ জলে কেঁপে উ’ঠে হারানো উষ্ণতা, অবিরত সময়ের সাথে আমাকে
নিয়ে যায় স্বপ্নজলে-ভাবনার একান্ত গভীরে; শোভাময় আমার নিসর্গের প্রবাহিত
ধারা অনন্ত চিন্তায় তাকে বাঁচিয়ে রাখি উজ্জ্বল সবুজে; প্রত্যহ হারিয়ে যাই অস্ত
দিগন্তের শেষ সীমায়, যেখানে অলৌকিক ব’লে কিছু নেই শূন্য অতীন্দ্রিয়
পবিত্র বাস্তবতায়, যাকে আমি রোপণ করি অত্যন্ত আদরে, আঙুলের ছোঁয়ায়
সেও মিশে থাকে শব্দের আদি ও অন্তে, গভীর আলিঙ্গনে ব্যক্তিগত সৌন্দর্য
বিছিয়ে দিই নিসর্গের মায়াবী টেবিলে, নীল স্মৃতি খেলে যায় পলিমাটির বু’কে;
বিষাক্ত হৃদয়ে বেড়ে উ’ঠে লাল-নীল-সবুজ স্বপ্ন আমার কারুকার্যময় কবিতার
পঙক্তিতে, শতাব্দীর তীব্র আবেগে হাহাকার ক’রে উ’ঠে আমার শিল্পকলার
সৌন্দর্যমণ্ডিত সমস্ত শ্লোক রূপান্তরিত বাস্তবতায়, রক্তগোলাপে ছড়িয়ে প’ড়ে
মুহূর্তেই পাঁচ আঙুল ভেদ ক’রে স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে, সমস্ত কোমলতা বিছিয়ে
দিই নীল আকাশে, ভেঙে যাচ্ছে বসন্তের সম্পর্ক লাল আগুনের মত বিবর্ণ
স্নিগ্ধময় শরীরে, তাঁর ঐশ্বর্য আর মহিমায় স্তব্ধ হ’য়ে উঠে নির্মল সৌন্দর্য।