পৌষের কোমল সন্ধ্যায়, মুহূর্তে হারিয়ে যায় সমস্ত শিথিল ভাবনাগুলো
আমার মন থেকে, অনুভূতির কোষগুলো ছড়িয়ে প’ড়ে রক্তকণিকার গহ্বরে
আমি বেঁচে থাকি উজ্জ্বল আলো গায়ে মেখে; বিহব্বল চেতনায় যারা একে
দিয়ে যায় সুতীব্র কামনা শিশিরের অমল ছোঁয়ায়; চাঁদ আর জ্যোৎস্নার
আলোয় খেলা ক’রে ইন্দ্রিয়ের অজস্র রূপ, সৌন্দর্যের অমলতার শিশিরে,
উষ্ণ কোমল সুখ ফিরে আসে আবর্জনাময় বেড়ে উঠা স্বপ্নের গভীরে-
হলুদ ঘাসে মিশে থাকে বিবর্ণময় কণ্ঠস্বর পৃথিবী জু’ড়ে তার আপন পথে,
আমি এগিয়ে যাই গভীর রাতে তার ছায়া দেখে দেখে নিবিড় বসন্তে;
কারুকার্যময় হাসিতে লেগে থাকে অভ্র প্রোজ্জ্বলিত সৌন্দর্য তার অবয়বে
নিসর্গের রাতে বুকে গেঁথে রাখি মাধবীর অমল ভালোবাসা বাতাসের সুরে,
জ্যোতির্ময় নীল ছোঁয়ায় হারিয়ে যায় আমার সকল ব্যথা গভীর নির্জনে
শ্রাবণের বৃষ্টিতে পলিমাটি প্রাণ পায় হৃদয়স্পন্দন কেঁপে উঠা আঙুলে;
নিঃশব্দে অনুভূতিগুলো জেগে উ’ঠে শতাব্দী জড়ানো ঝলোমলো শূন্যতায়
বিস্ময় ভাবে তাকিয়ে থাকি সেই সব রূপান্তরিত বিপন্ন সৌন্দর্যের দিকে-
মুহূর্তের ভালোবাসা বুকের কোণ থেকে হারিয়ে যায় টলোমলো অশ্রুবিন্দুতে।