[ ১ ]
আমরা আমাদের নই। আমরা কাদের তা-ও আমরা জানি না।
[ ২ ]
খেলা ব্যাপারটা আসলে মজার। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে দেখেছি ফুটবল খেলতে, কিন্তু কোনো ফুটবলারকে দেখিনি ক্রিকেট খেলতে।
[ ৩ ]
বাংলাদেশে মিনি প্যাকে সব কিছুই পাওয়া যায়। কেবল পাওয়া যায় না মিনি ভালোবাসা।
[ ৪ ]
মিডিয়া হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় জাদুকর। কখনও কাউকে করে বিখ্যাত আবার একই ভাবে কখনও করে কুখ্যাত।
[ ৫ ]
যে কথাটি খুব মনে পড়েঃ আমি কার ? কে আমার ?
[ ৬ ]
কোনো কবি-ই স্পষ্ট করে বলতে পারেনি কবিতার জন্ম আসলে কত আগ থেকে।
[ ৭ ]
রবীন্দ্রনাথের জগতে যেমন উচ্চারিত হয়েছে ‘সত্য’ ; ‘সুন্দর’। একইভাবে জীবনানন্দ দাশের
জগতে সমভাবে উচ্চারিত হয়েছে ‘আলো’ ও ‘অন্ধকার’।
[ ৮ ]
বাঙালি যতো না ভালোবাসার কথা বলে তার চেয়ে বেশি করে অভিনয়।
[ ৯ ]
প্রযুক্তি বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় জিজ্ঞাসা করা হতো আপনার নাম কি ? এখন জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার নাম্বারটা দিন।
[ ১০ ]
বাঙালি বেশ অদ্ভুত জাতি। বুঝা যায় না কখন পক্ষে থাকে আবার বুঝা যায় না কখন বিপক্ষে।
[ ১১ ]
সম্ভবত বাঙলাদেশকে দু’ভাগে ভাগ করলে একটি হতো “বাঙলাদেশ উত্তর” আর অপরটি হতো “বাঙলাদেশ দক্ষিণ”। যেহেতু পূর্ব-পশ্চিম আগ থেকেই রয়েছে।
[ ১২ ]
জীবনানন্দ দাশ বলেছেনঃ ‘সকলেই কবি নয়; কেউ কেউ কবি’। এখন তিনি বেঁচে থাকলে
বলতেনঃ ‘কেউ কেউ কবি নয়, ‘সকলেই কবি’।
[ ১৩ ]
আমরা ভাবতে বা চিন্তা করতে পছন্দ করি না। কিন্তু অন্যকে ভাবনায় বা চিন্তায় রাখতে পছন্দ করি। এটা আমাদের চরিএ।
[ ১৪ ]
কাম ও প্রেম সহোদর। কাম জন্ম নিতে সময় লাগে না; প্রেমে লাগে। প্রেমহীন কাম হল বলাৎকার। কামহীন প্রেম বিষাদ।
[ ১৫ ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চুমো’কে বলতেন ‘হামি’।
[ ১৬ ]
আমরা ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নের চেয়ে অন্যর দেখানো স্বপ্নে আশ্বস্ত হই।
[ ১৭ ]
কবিতা ও পদ্য এক নয়। বাঙলায় কবির চেয়ে পদ্যকারের সংখ্যা বেশি।
[ ১৮ ]
যদি নির্বাসন দেওয়া হয়; নিতে বলে কিছু তাহ’লে নিবোঃ বই, নারী ও ঔষধ।
[ ১৯ ]
মৌলিকতা হলো সৃষ্টিশীলতার নতুন রূপ।
[ ২০ ]
নজরুল প্রথম হোন ‘বিদ্রোহীর কবি’। ধীরে ধীরে হ’য়ে উঠেন ‘বিদ্রোহী কবি’। অবলুপ্ত হয় “র” অক্ষরটি।
[ ২১ ]
যারা সাপ নিয়ে খেলে তাঁদের সাপুড়ে বলা হয়। কিন্তু যারা মানুষ নিয়ে খেলে তাঁদের কি বলা হয়?
[ ২২ ]
বাঙালির একটা জিনিস আমার খুব ভালো লাগে। তাঁকে যেটা নিষেধ করা হয় সেটা’ই সে বেশি করে।
[ ২৩ ]
পৃথিবীতে একমাত্র বাঙলাদেশেই টাকা কেনা-বেচা হয়।
[ ২৪ ]
রাজনীতিবিদরা হলো দেবদূত থেকেও মহাশক্তিশালী।
[ ২৫ ]
যে সংজ্ঞাটি বাঙালি স্পষ্ট করে কখনও বুঝে উঠতে পারে না। আর তা হলঃ “ধর্মানুভূতি”।
[ ২৬ ]
সফলতা দেয় স্বাচ্ছন্দ্য। ব্যর্থতা দেয় সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য।
[ ২৭ ]
জীবনানন্দ দাশকে অনেকে বোকা মনে করে। আসলে তিনি বোকা ছিলেন না। কোনো কবির
উদৃতি দেওয়ার সময় নাম না লিখে বলতেন ‘কোনো এক আধুনিক কবি’।
[ ২৮ ]
কবির কবিতা লাগে। অন্যরা শ্রোতা মাত্র।
[ ২৯ ]
আমার তীর্থস্থানঃ ‘যেখানে তোমার পদচিহ্ন রয়েছে’।
[ ৩০ ]
‘কবি’ শব্দটি আসলে অদ্ভুত। কেউ ম্যাট্রিক পাশ না করেও হ’তে পারে উৎকৃষ্ট কবি। আবার কেউ উচ্চশিক্ষিত হয়ে তা না-ও হতে পারে।
[ ৩১ ]
আমার এক সহকর্মী বলতেন আমার রাজনৈতিক দল নির্ধারিত হয় আমার লিঙ্গের দ্বারা।
আমি কোন দল করি তা কেউ বিশ্বাস করে না। যেহেতু আমার লিঙ্গের মাথা কাটা নাই । তাই সবাই জানে আমি পছন্দ করি।
[ ৩২ ]
কবিদের একটা চরিএ আছে। তারা কখনও সমপর্যায়ের অন্য কোনো কবিকে কবি মনে করে না।
[ ৩৩ ]
সময় পেলে মাথায় যা ঢুকে পড়েঃ “অদ্ভুত আঁধার এক নেমেছে পৃথিবীতে; আজ যারা অন্ধ তারাই সবচেয়ে বেশি চোখে দেখতে পায়”।
[ ৩৪ ]
বাঙলাদেশের রাজনীতিবিদদের যদি অপর দল সম্পর্কে দু’টি কথা বলতে বলা হয় তাঁরা দুশো কোটি কথা বলতে পারবে।
[ ৩৫ ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি লালনের ভাব দ্বারা আচ্ছন্ন ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কি কম বুঝতেন লালন থেকে ?