হৃদয়ের সব সম্পর্ক আজ বৈদ্যুতিক, মিশে না কোন সম্পর্ক আর মনের গভীরে;
কিছুই আর অপেক্ষায় থাকে না প্রাপ্তির অপেক্ষায় দিনের শেষে-
ক্ষণে-ক্ষণে যা মিলে যায় মুহূর্তে, অপূর্ণতা নেই কিছুতেই;
শনি-সোম আর বুধের অপেক্ষায় চেয়ে থাকে না অমলিন দু’চোখ
আমার মরচে পড়া লেটার বক্স শূন্য পড়ে রয় সুরম্য অট্টালিকার কোণে কেঁপে-কেঁপে;
কেউ আর উজার ক’রে বলে না সকল কথা অন্যের সাথে স্নিগ্ধ সৌরভে,
মেঘ ও জ্যোৎস্নার সাথে উ’ড়ে গেছে আমাদের সকল কথা হৃদয়ের গভীর থেকে;
হৃদয়ের গাঢ় দুঃখ আজ রূপান্তরিত হ’য়ে উ’ঠে পারদের হিমে,
নীল সবুজে মিশে থাকে রক্তের সম্পর্ক নিবিড় বু’কে;
অলৌকিক ভাবনা জমে স্নিগ্ধ আবেগে, ছুঁয়ে যাওয়া মৌনে,
পলিমাটির বু’কে ঝ’রে পড়ে নীল বৃষ্টিপাত ক্ষণে-ক্ষণে;
তীব্র আবেগ মিশে যায় হৃদপিণ্ডের সাথে, লাল-নীল আলোর বিচ্ছুরণে-
ভেঙে পড়া মনে আর কোনো কথা জমে না অতীত সম্পর্কের মাধুর্যের কোমল সুরে;
সবুজ বাতাসে দুলতে থাকে মসৃণ লেটার বক্স, সকাল আর নিবিড় সন্ধ্যায়
যেথায় একদা জমা হতো, সকল রাজ্যের দশদিগন্ত থেকে উ’ড়ে আসা পদাবলী
শিশিরের স্পর্শে কেঁপে উঠা আঙুলে, বু’কের গভীর থেকে
সংগোপনে রেখে দিই বু’কের জমা ব্যথা সেই নীল বক্সে অতি আপন মনে;
দিন আর রাতের ব্যবধানে যেখানে জমে উ’ঠে অনেক অজানা কাহিনি
হৃদয় ছেড়ার গল্পগাঁথা উত্তর আর পশ্চিমের, বয়ে যাওয়া পরাবাস্তব স্বপ্নে
ঝ’রে পড়া চাঁদ আর মধুমতীর পালতোলা নাউয়ের চিত্র গেঁথে রয় লিপির
বিন্যাসে কোমল পাতায়, শিশির আর শাদা মেঘের
সাথে মিশে যাই সেই সব সময়ের স্রোতে,
গত হয়েছে যা কয়েক দশক ভাবনার আড়ালে, অজস্র মাটি ভেদ ক’রে
অশ্রুবিন্দু আজ চলে গেছে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল ছেড়ে,
তার পদচিহ্ন শুধুই স্মৃতি আমার কারুকার্য হারানো বু’কের গভীরে,
নিঃশব্দে জমে না কোন কথা মনের আড়ালে, কারুকার্যময় সোনালী নীলের দিগন্তে
কেঁপে উঠা দিন আর রাত্রির নিদ্রাহীন দুপুরে; সংক্ষিপ্ত আজ সব কিছু বু’কের কোণে-
কিছুই পারে না জমাতে হিমপল্লবে পরস্পরের কেঁপে উঠা ঠোঁটে
সব’ই ফুরিয়ে গেছে বেহালার হৃদয় কাঁপানো শ্রাবণ জলের সুরে
জ্যোতির্ময় ভাবনায় নিরন্তর গোপন সুর দুস্প্রাপ্ত প্রেমে
আমার হারানো আঁখিকোণে প্রাত্যহিক সম্পর্ক মুছে গেছে নীল খামে
উদাসীন জড়তায় জীবনের অক্ষরে, পরিপূর্ণতায় ভ’রে উঠুক নিঃসঙ্গতা
একাকী প’ড়ে থাকা শূন্যেময় তোমার নামের শব্দে, জ্যোতির্ময় শিশিরে।