ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বুকের রক্তিম গভীরে,
অনেকগুলো সৌন্দর্যরে চিহ্ন আমি ব’য়ে দিয়েছি নীল স্মৃতির মায়ানদী জু’ড়ে
প্রোজ্জ্বলিত শুভ্র চাঁদের মত, নিসর্গ শিশিরের কোমলে, বিষাক্ত ছোঁয়ায়,
জেগে উঠা আঁখিতারায় নিঃশব্দে, কেঁপে উঠা আঙুলের একান্ত গভীরে
সেই উৎসবের সমস্ত আয়োজন মিশে গেছে স্লিগ্ধ ভোরে রূপসীর সৌন্দর্যে;
যে মেঘ আমি উড়িয়েছি গাঢ় জ্যোৎস্নায় তীব্র ভালোবেসে পবিত্র শিশিরে,
দু’চোখের উজ্জ্বল অশ্রুকোণ শ্রাবণজলে ঝ’রে গেছে নিসর্গ সন্ধ্যায়
নরম সবুজ বাতাসে; পাখির সুর, নীল ঢেউ আর জ্যোতির্ময় আকাশে;
ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না নিবিড় নীলবীথি হৃদপিণ্ডে
নক্ষত্রের আলো ছায়ায়, শিশিরের জলে, উচ্ছ্বাসিত ভেঙে পড়া নির্মম হৃদয়ে
অর্থহীন আমার সমস্ত সংগীত, রক্তাক্ত ক্ষ’তে জমে আছে গাঢ় নিস্তব্ধ নিশীথে;
নিঃশব্দ অতীন্দ্রিয় শুভ্রতায় মিশে আছে টলোমলো অশ্রুবিন্দু সংগোপনে
নৈঃশব্দে পা রাখি সোনালী মাটিতে, অশ্রুবিন্দু গ’লে প’ড়ে তীব্র ছোঁয়ায়
সৌন্দর্যের সমস্ত প্রতিভা হারিয়ে গেছে চোখের কোণ থেকে;
মাধবীর কোন রূপই সহজেই দেখা দেয় না চন্দ্রালোকের জ্যোৎস্নায়
লাল নীল আর উজ্জ্বল ঝলমলে চিহ্নগুলো ধুয়ে গেছে কোমল বিষণ্ণতায়।