বাস্তবের সাথে মিশে থাকি, চিন্তা-ভাবনায় জড়ো করি এক গভীর উপলব্ধি
কাব্যেয় রূপ দেই ঐশ্বর্যময় প্রোজ্জ্বলিত শব্দের; চৈতন্যলোকে টেনে আনি
বিচ্ছিন্ন চিত্রকল্পনা, ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন বিবর্ণতায় একে দিই মহাকবির
অমর বাণী কয়েক মুহূর্তে, মৃদু স্বরে বেজে উ’ঠে কোনো হারানো সুর বু’কের
মধ্যে থেকে, নিঃসঙ্গ ও গাঢ় অন্ধকারে মিশে যায় পূর্ণ অভিজ্ঞতার অনেক কিছু;
নিবিরভাবে ডুবে থাকি জমানো প্রাজ্ঞ উপলব্ধিময় সুগভীর কোন কবিতার পাতায়
নিরর্থক দিনের অনেক কিছুই ফু’টে উ’ঠে হারানো স্বপ্নের মধ্যে, শ্রাবণ দিনের
রোদের ঝিলিকে, সোনালি আঙুলে খেলা ক’রে কারুকার্যময় সৌন্দর্য অমল সন্ধ্যায়,
কণ্ঠস্বর থেকে ঝ’রে প’ড়ে পরিস্রুত ভাষার জ্যোতির্ময় স্নিগ্ধ কবিতার মসৃণ অক্ষর
তীব্র আবেগে হারিয়ে যাই দিগন্তের উদ্ভাসিত আলোকে, বিষাক্ত ছোঁয়া দিয়ে যায়
কঠিন ব্যথা মসৃণ শরীরে অবলীলায়, অতীন্দ্রিয় আমার নিসর্গনীলিমা সবুজ বাতাসে
শোভাময় অনেক কিছু স্বপ্নের গভীরে লুকিয়ে থাকে স্তরে-স্তরে পবিত্র সম্পর্কে;
নিসর্গের ভাবনায় তাকে বাঁচিয়ে রাখি দৃঢ় সম্পর্কের অলৌকিক উজ্জ্বল নক্ষত্রে-
সুগভীর কোনো পথে একে দিই অতীন্দ্রিয় সৌন্দর্য স্বপ্নের সিঁড়িতে যারা দাঁড়িয়ে
থাকে অনন্তকালব্যাপী, প্রতিভার সব চিহ্ন বিলীন হ’য়ে উ’ঠে অদ্ভুত ভাবে দু’চোখ
জু’ড়ে নীল জলে, ঝ’রে অশ্রুবিন্দু গাঢ় হয়ে অপরিসীম পুণ্যজলে পরিপূর্ণ দিনে;
ধূসর দিন, কালো মেঘ আর জ্যোতির্ময় মৌনে তাদের লুকিয়ে রাখি ঘাসের হিমে
নিজেকে হারিয়ে খুঁজি নিঃশব্দে, শিউলির বোঁটায়, রক্তে গেঁথে রাখি অমল সৌন্দর্য,
সমুজ্জ্বলে ফু’টে উঠে অপার বিস্ময় স্নিগ্ধ বাতাসে, রুপালি সুরে মিশে থাকে হৃদয়