ছোটোগল্প বা গল্পগুচ্ছের নাম নিলেই প্রথমেই যাঁর নাম আসে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যদি এরকম বলি: রবীন্দ্রনাথ মানেই একগুচ্ছ গল্প, আর একগুচ্ছ সতেজ গল্প মানেই রবীন্দ্রনাথ। তাঁর ছোটো গল্পের আগেই আমার মনে পড়ে যায় “সোনার তরী” কাব্যের ‘বর্ষাযাপন’ কবিতার ওই অংশটুকু “ছোটো প্রাণ ছোটো ব্যথা, ছোটো ছোটো দুঃখ কথা/নিতান্তই সহজ সরল-/ সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি,/তারি দু-চারটি অশ্রুজল।/নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা,/নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ-/ অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ।” বাস্তবিক পক্ষেই আমার সবসময় মনে হয়েছে তিনি শেষ করেও যেন শেষ করেননি।
আর কি বললে ভালো হতো বা কী না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যেতো গল্পটা তা কখনো স্থির করতে পারি নি। ‘হৈমন্তী’, ‘সমাপ্তি’, ‘পোষ্ট মাস্টার’; ‘মনিহার’, ‘মাল্যবান’, ‘ছুটি’, ‘কঙ্কাল’, ‘দেনা পাওনা’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘ঘাটের কথা’, ‘স্ত্রীর পত্র’, ‘শাস্তি’, ‘শুভদৃষ্টি’ ইত্যাদি গল্পগুলো পড়েছি কয়েকবার। রবীন্দ্রনাথের ওই গল্পগুচ্ছকে শ্রেষ্ঠ গল্প ছাড়া অন্য কিছু বলা যেতে পারে না। যদিও আরো অনেক ধরনের সাহিত্য তিনি সৃষ্টি করেছেন। জীবনানন্দের ওই অপ্রকাশিত গল্পগুচ্ছ এখন প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। যে গল্পগুলো গল্পসমগ্র আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ‘বোধ, ‘আবার আসিব ফিরে’, ‘অন্ধকার’, ‘আট বছর আগের একদিন’, ‘রাত্রি’ ইত্যাদি কবিতা-র কবি যখন কোনো গদ্যে ভাষাকে বেঁছে নেন কী রকম হবে তাঁর গল্পের ভাষা? রূপসী বাঙলার ওই নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মতো। নাকি বিশ্বচেতনার মানববল থেকে নেমে আসা প্রেমিকার রূপান্তরিত গল্প। জীবনানন্দ দাশ, তাঁর কবিতায় যখন উপস্থিত হয়, প্রেমের অস্ফুট বোধও পিপাসা ইন্দ্রিয়ময়ী নারী; এবং ওই নারী যখন মৃত ও ভয়ঙ্করী হিসেবে দেখা দেয়, তবে কী তিনি ওই গল্পে বেছে নিবেন এমন কোনো নারীকে? কিংবা ‘অরুনিমা’, ‘স্যানাল’, ‘সুদর্শনা’, ‘শ্যামলী’, ‘শঙ্খমালা’, ‘সুরঞ্জনা’; সবিতা এবং সুচেতনার মতো নারীদের যাঁদের তিনি এক একটি বিশেষ নামে চিহ্নিত ও বিশেষায়িত করেছেন।
জীবনানন্দের গল্পের নামগুলোর দিকে চোখ রাখলেই বুঝতে পারি ওই নামগুলো কবিতার নাম থেকে খুব বেশি বিচ্ছিন্ন নয়, বরং সমার্থক রয়েছে যেন কবিতার সাথে। জীবনানন্দের ওই নামগুলো যেন ইন্দ্রিয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে অঝোর ধারায়। ‘কুয়াশার ভিতর মৃত্যুর সময়’, ‘মেয়ে মানুষের ঘ্রানে’ ; ‘বত্রিশ বছর পরে’, ‘মেয়ে মানুষের রক্তমাংস’, ‘শীতরাতের অন্ধকারে’, ‘অঘ্রানের শীত’, ‘পেঁচা’, ‘জোনাকিদের মধ্যে,’ ‘বাইশ বছর আগের পৃথিবী’, ‘কুড়ি বছর পরে’, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘কুড়ি বছর পর ফিরে এসে’, ‘ভালোবাসার সাধ,’ ‘রক্তমাংসহীন’ ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি গল্পের যেমন রয়েছে নিজস্ব পরিবেশ কাঠামো এবং চরিত্রের রূপায়ন, সেই সাথে সামাজিক দিক নিদর্শন। কিন্তু জীবনানন্দে দেখতে পাই না ছোটো গল্পের রূপ। গল্পের মাধ্যম হিসেবে তিনি বেঁছে নেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রেমকে। যে প্রেমে বেড়ে ওঠে না কোনো তরুণ-তরুণী। মধ্যেবিত্ত শ্রেণীর জীবনযাপন, এবং তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে যে সব বাক্যে বিনিময় হয় তা-ই প্রধান হ’য়ে ফিরে আসে গল্পগুলোতে। হতাশা, নিঃসঙ্গতা এবং মনোগত বিকাশের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাওয়া যায় ওই চরিত্রটি ব্যক্তি জীবনানন্দ থেকে খুব বেশি বিচ্ছিন্ন নয়। বরং প্রত্যকটি গল্পতে প্রধান চরিত্রটি হ’য়ে আসে ব্যক্তি জীবনানন্দের ছায়ারূপে।
জীবনানন্দের প্রথমদিকের গল্পগুলোতে চোখ রাখলে দেখতে পাই ঃ তাঁর এ পর্বের গল্পগুলোতে ‘প্রেম’ এবং ‘বিয়ে’- এ বিষয়গুলো বেশী নির্ভর ক’রে গল্পের বাসভূমিতে। গল্পগুলোতে একই জিনিস ফিরে আসে বার বার। জীবনানন্দের গল্পের প্রধান চরিত্রটি হ’য়ে উঠে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এবং সর্বোপরি কর্মহীন। যে স্থায়ী কোনো কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করতে ব্যর্থ। নৈব্যক্তিক দিক থেকে সে হ’য়ে উঠে সম্পূর্ন রূপে পৃথক এক অজানা মানুষে। নতুন জীবন বা দাম্পত্যের শুরুতেই যাঁর হৃদয় হাহাকার করতে থাকে প্রাক্তন কোন প্রেমিকার জন্যে। প্রেমিকার স্মৃতি, নববধূর থেকে বেশী মাত্রায় উজ্জ্বল উপস্থিত হ’য়ে দেখা দেয় কবির জীবনে। আনন্দময় ওই সময়ে কবি ফিরে তাঁকান অতীতের শূন্যময় স্বপ্নের দিকে। সে শূন্যময় স্বপ্ন কবিকে হাহাকার, নির্মম ব্যথা ছাড়া কিছুই দিতে পারে না। ‘কুয়াশার ভিতর মৃত্যুর সময়’ গল্পের প্রধান চরিত্রের দিকটি এরূপ:
‘তুমি এখনো ঢের ছোট।’
‘কিন্তু তুমি বড় হয়ে কতদূর পারলে?’
‘থাক, তোমার কথাটা শোনাও তবু, শুনলেই আমার শুধু সত্যাসত্য-
আমি একটা বের করে নিতে পারবই।’
‘আমার বেশি অবসর নেই তার, তুমি কি শুনতে চাও?
‘আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি জেনেও তুমি এত খুশি কেন অরুনা?
এই জিনিসকে বরাবর আমাকে অবাক করেছে, আজও ভাল
করে কিছু বুঝতে পারছি না।’
‘আমি যদি তোমার আগে বিয়ে করতাম, আমার বিয়েতে
আসতে না তুমি?’
‘না।’
‘আমাকে চিঠিও লিখতে না?’
‘না।’
“মনে মনেও কোনো মঙ্গল বাসনা করতে না আমার জন্য?’ ‘বিয়ে মানে কি অরুণা? আমাদের বিয়ে শত অন্ধকার ভিতর দিয় চলে আসলেও একটা কিছু স্বীকার করেই তার দিকে অগ্রসর হয়, আমাদের ভিতরেও অনেকে ভালবেসে বিয়ে করে, যারা তা করে না তারা ভালবাসার প্রতি উদাসীন হয়ে বিয়ে করে, খুব সামান্য কটি মানুষই দেখবে তুমি যারা একজনকে সত্যি ভালবেসেও আর একজন অজআতকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়, কিন্তু নানাধিক কার নিয়ম প্রয়োজন চাপাচাপিতে এরকম ঘটনাও নিতান্ত কম হয় না। কিন্তু যে প্রেমস্বাদ উপেক্ষিত হল, পুরুষই হোক, বা মেয়ে মানুষই হোক, স্বভাবত কিভাবে সে এ জিনিসটা গ্রহণ করবে অরুনা। আমি তোমাকে ভালবেসেছি, তোমাকে ছাড়া আর কাউকে না, তুমি আমার কাছে কী রকম যে জিনিস সমস্ত ‘সৃষ্টি আবহমানকাল আমার জন্য অপেক্ষা করছিল, আমাকে সেটুকু বোঝাতে ঠিক যেমন করে কেউ কোনোদিন তা বোঝেনি, কেউ কোনোদিন তা বুঝবে না, বুঝবে না, আমার এ অভিজ্ঞতাটুকু সৃষ্টি নিজের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি অনাদি বছরের- সঞ্চয়ের সঙ্গে সঞ্চয় করে রাখল, এত সঞ্চয়ের পরও এতটুকুও দরকার ছিল তার, এমনি করেই সে অপরিসীম হতে চলেছে, তোমার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ এই, সৃষ্টির অনন্ত সঞ্চয়ের মধ্যে, অতি তুচ্ছতম, কিন্তু তবুও একেবারেই অপরিহার্য, যে ভালবাসছে কোনোদিনও এক কণাও তেমন করে ভালবাসাতে পেরেছে কাউকে, সে এ বোঝে কিন্তু আশ্চর্য সে ছাড়া লক্ষ লক্ষ অপ্রেমিক শত চেষ্টা করেও এ বুঝবে না। আমি ভালোবেসেছি, আমি বুঝি, আমি যা এবং তুমি যা এবং আমার প্রেম যা তুমি আমার কাছেই কি একমাত্র আমিই নিজস্ব করে তা জানি, সৃষ্টিও আমার সেই জ্ঞান ও বোধ দিয়ে চরিতার্থ, আমার জীবনের এই বিশেষত্ব এবং সৃষ্টির নিকটও এর এই অবিনশ্বর অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তাকে শত টানাটানি করেও কেউ কোনোদিন খসিয়ে ফেলতে পারবে না। বটে, আমি একদিন তোমাকে ভুলে গেলেও না। কিন্তু যে সত্য একবার হয়ে গেছে তা চিরকালের জন্যই সত্য হয়ে রয়ে গেছে, কিন্তু এ সত্যকে কেউ স্খলিত করতে না পারলেও আমার প্রেমের নিজস্ব স্বত্তাকে কেউ না বুঝে কথা দিতে পারে কিংবা বুঝেও, এখনই তোমাকে আমার নিজস্ব স্বত্তাকে সে অনুমাত্রও লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে, কিংবা তুমি তোমাকে লঙ্ঘিত করতে দিচ্ছ।”
জীবনানন্দের ব্যক্তিগত জীবনে অভাব এবং দারিদ্র যতোটা চেপে ধরেছিল সেখান থেকে তিনি মৃত্যুর অব্যাহতি পূর্ব পর্যন্ত উঠতে আসতে পারেননি। যার ফলশ্রুতিতে তিনি রচনা করতে থাকেন উপন্যাস এবং গল্প। ব্যক্তি জীবনে জীবনানন্দের স্বপ্নভঙ্গ ঘটেছিল অনেক পূর্বেই, কিন্তু ভাঙেনি আশাভঙ্গ। যে আশাকে নিবিষ্ট মনে নিয়ে জীবনানন্দ সৃষ্টি করেন পরবর্তী -এ সাহিত্যগুলো। কিন্তু জীবনানন্দের অভাব ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাঁর কবিতায় মৌলিক সৌন্দর্য দানে ব্যর্থ হয়নি। ১৯৩১-এর শেষের দিকে তিনি রচনা করতে থাকেন গল্পগুলো। ১৯৩১-এর শেষের তিনমাসে তিনি লিখেন দশটিরও অধিক গল্প। ১৯৩২-এর প্রথম দু’মাসে লিখেন তিন থেকে চারটি গল্প। ১৯৩২-এর এপ্রিলে লিখেন দশটি গল্প, এবং একই ভাবে পরবর্তী মাসে অর্থাৎ, মে-তে লিখেন সমসংখ্যক গল্প।
১৯৩২-এর জুনে লিখেন সাতটি গল্প। পরবর্তী চার মাসে আর কোনো গল্প লিখেননি। শুধুমাত্র অক্টোবরে পাওয়া যায় একটি গল্প। শেষের মাসে লিখেন পাঁচটি থেকে ছয়টি গল্প। কোনো মাসে যখন তিনি লিখেন দশ বা ততোধিক গল্প, কিন্তু আবার যে সময় তাঁর আরো বেশি গল্প লেখার কথা ঠিক সেই সময়ে তিনি স্তব্ধ হ’য়ে যান। এভাবেই আবার নতুন করে লেখার শুরু হয় ১৯৩৩-এ। প্রথম দু’তিন মাসে তেমন না লিখলেও আবারও আসে সেই এপ্রিল মাস। যে মাসে পূর্বের ন্যায় লেখেন দশের অধিক গল্প। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৩৩-এ প্রকাশ পায় জীবনানন্দের ‘বিভা’, ‘মৃণাল’, নিরুপমযাত্রা’, ‘কারুবাসনা’, ‘জীবন প্রণালী’, বিরাজ’ এবং ‘প্রেতিনীর রূপকথা’ উপন্যাসগুলো। ১৯৩৩-এর মে-তে লিখেন সাতটির মতো গল্প। ১৯৩৬-এ আবার লিখেন পাঁচটির মতো গল্প। এখানেই তিনি শেষ করতে পারতেন গল্পগুলোকে। কিন্তু তা-না হ’য়ে ১৯৪৬-এ আবার লিখেন আরো দু’টি গল্প।
জীবনানন্দের গল্পের প্রধান চরিত্রটি মাঝে মাঝে দেখা দেয় অসম্পূর্ণ কবি হ’য়ে। যে নিজের ইচ্ছায় কিছুটা এগিয়ে যায় এবং আবার থেমে থাকে। যেন লেখাটা বড় বেশি নিরর্থক মনে হয় তাঁর কাছে। সৃষ্টি চরিত্রগুলো সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, সে কবি হবে কী হবে না।
‘পাতা-তরঙ্গের বাজনায়’ জীবনানন্দ বলেন : ‘সুকুমার ভাবছিল, ‘আমরা কবি, আমরা জানি কবিতা লিখবার সময় আর্টিস্ট মনটাকে এত ভাল লাগে। কিন্তু তখন শব্দ সব তৈরি হয়ে গেছে চিন্তার আর বাধা নেই। কিন্তু তবুও প্রায়ই আমাদের কিছু লেখা হয় না। লিখবার আগেও আয়োজন কি কঠিন কি দুঃসাধ্য সমস্ত দিন সমস্ত রাত ধরে। এই মেয়েটিরও তাই। এর গান বাজনা এর কবিতা। হয়তো এও লুকিয়ে লিখে। নইলে কত মেয়ে মানুষই ত এ জীবনে দেখেছে সুকুমার, সে একজন লেখক, সে একজন কবি বলে তার সঙ্গে এত আত্মীয়তা কেউ কি আর করতে এসেছে?’
জীবন সম্পর্কে চিন্তাবোধে নিমগ্ন থেকে সে বিচ্ছিন্ন হ’য়ে পড়ে পরিবার ও প্রিয় মানুষ থেকে। স্বাভাবিক ভাবে দিন যাপনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেলেও সে বার বার মনে করতে থাকে জীবনকে। কতটা সার্থক আর কতটা নিরর্থক হতে পারে জীবনটা! প্রেম, বিয়ে, স্ত্রী, সংসার ইত্যাদি ব্যাপারগুলো বহু স্থান জুঁড়ে থাকে গল্পগুলোতে। ব্যক্তি জীবনানন্দ দাশের চরিত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয় গল্পের সৃষ্ট চরিত্র নির্মাণের মাধ্যমে। এখানে উল্লেখ করতে চাই, বুদ্ধদেব বসুর সৃষ্ট উপন্যাসের বা ছোটো গল্পে যে ব্যাপারগুলো এসেছে বার বার তেমনি জীবনানন্দের চরিত্রও নির্মাণে এসেছে তদ্রুপ। উপন্যাস বা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলো কখনো হ’য়ে উঠে শিক্ষক বা ইংরেজি সাহিত্য প্রিয় মানুষরূপে।
জীবনানন্দের গল্পগুলো গভীর চিন্তা বা আবেগ থেকে বেড়ে ওঠা কোনো গল্প নয়। ওইসব গল্পগুলো জীবনানন্দের জন্যে হ’য়ে উঠে লেখার জন্য লেখা। বাঙলা সাহিত্যের একজন কবির হাতে ছোটগল্প হ’য়ে উঠুক গল্প এবং শুধুই গল্প। সেখানে কোনো কবিকে খুঁজে নিতে আমাদের কোনো কষ্ট হয় না। গল্পের মধ্যে থেকে আমরা খুঁজে পাই কবি জীবনানন্দকে, যিনি কবি এবং শুধুই কবি।