কোমল মসৃণ ত্বক হারাচ্ছে সৌন্দর্য; খসে-খসে ঝ’রে পড়ে অমল শৈল্পিক চিত্তে
কঠিন অবয়ব কয়েক মুহূর্তে নীল হ’য়ে উ’ঠে পবিত্র দেহে কুয়াশার শিশিরে;
তাতে গেঁথে থাকে একশো একটি রক্তগোলাপ, পূর্ণিমার ভরা জ্যোৎস্নায় নীলে;  
মাংস ভেদ ক’রে পৌঁছে যায় আশ্চর্য আঙুল বিস্ময়কর শরীরে; নিঃসঙ্গ ভাবনায়  
উজ্জ্বল জলে তা ভেসে উ’ঠে দুর্ভেদ্য নির্ঝরে; আমার হারানো অতীত সম্পর্কে,  
শহরের সকল আবর্জনা যেন দিন দিন জড়ো হয় গোপন শুভ্রতার আঁখিকোণে,  
স্বপ্ন ও বস্তুর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য আজ দেখতে পাই না আমার মৌনে;  
টলোমলো জলে কালো ছায়া ভেসে উ’ঠে ছুঁয়ে যাওয়া সোনালী রূপের দিগন্তে,    
‘কালো মেঘে ছেয়ে গেছে পশ্চিমের আকাশ’ এ-কথা শুনিনি কোন কথার সুরে;  
বাল্যস্মৃতি আজও ফিরে পাই একাকী মধ্যেরাতে, জ্যোৎস্নাময় নিসর্গ সন্ধ্যায়,  
কেঁপে-কেঁপে ছুঁয়ে যায় আমার হারানো দীর্ঘ আঙুলে গেঁথে থাকা শূন্যেলোকে;
প’ড়ে রয় নরম শরীর লাল মেঘের ঢেউয়ে, পাললিক জলে, মধুমতীর তীরে,
জ্যোৎস্না মাখা চাঁদের তলে নিথর আর স্তব্ধ হ’য়ে পড়ে রয় আমার অমল ঠোঁট;  
ফোঁটায়-ফোঁটায় শিশির জ’মে উ’ঠে সবুজ ঘাসে; অনুভূতির শূন্যময় মুগ্ধহিমে;  
ইন্দ্রিয়ে ছুঁয়ে যায় কোমল ঠোঁট কিশোরীর হারানো আলিঙ্গনে; কল্পনার নিশিতে;
স্থির নিশ্চল নিঃশব্দে গেঁথে থাকে মৌলিক ভাবনার অবিরল সৌন্দর্য, নীলাকাশে,
নিজের মধ্যে মগ্ন থাকি, সকাল কি সন্ধ্যার শূন্যতায়, আলোয় ছড়িয়ে পড়া মর্মরে,  
মুছে যায় প্রসারিত রূপ আঙুলের ছোঁয়ায়; আশ্বিনের বাতাসে, টলোমলো শিশিরে;
আশ্চর্য, সব রঙ ধুয়ে-মুছে যায় শুভ্রতার কেঁপে উঠা ঝিলিকে, ঠোঁট আর নদীতে,
রূপসীর নিজস্ব রূপ আবার ফিরে পায় অদ্ভুত আভাসে, রূপান্তরিত চাঁদ-তাঁরায়;  
অনন্ত শূন্যতা; বিচ্ছেদে যারা দিয়ে গেল রাশি-রাশি প্রতিশ্রুতি; আজ বা কালের,
গ’লে পড়া স্বপ্নে, তাঁরা মিশে থাকে আত্মার পরম অস্তিতে; নীলবীথির সুনিবিড়ে;
বিস্ময়কর সব মর্মর ধ্বনি রূপান্তরিত হ’য়ে উঠে পৃথিবীর গাঢ় অন্ধকারের পথে;
মুহূর্তে মধ্যে সব মুছে যায় প্লাবনে; হারানো নীলিমার জ্যোতির কম্পন সবুজে;  
বিন্দু বিন্দু মেঘে নেমে আসে গাঢ় বৃষ্টি, নক্ষত্রপুঞ্জে উজ্জ্বল ঐশ্বর্য, আলোর জুড়ে;    
আমার সৌন্দর্য, প্রাগৈতিহাসিক নীলিমায়, পৃথিবী, আলো, সন্ধ্যা আর নিবিড়ে
মিশে গেছে হৃদপিণ্ড আর নির্ঘুম ভাবনার অবসরে; ঠোঁটের জন্য উন্মুখ রাখি;  
ফাল্গুন বিকেলে গেঁথে থাকে সমুদ্রের ফেনাময় আলিঙ্গনে, স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মৌনে;  
নিবিড় সন্ধ্যায় আমি পড়ে রই তীব্র চুম্বনে; হীরকময় কুমারীর কোমল বাহুতে;  
সবুজ বিস্তৃত সমতলে, আকাঙ্ক্ষা আর সব ইচ্ছা নিঃসঙ্গতায় চ’লে গেছে নীলে;
শাদা মেঘের পূর্ণ, নিটোল ঠোঁটে আমি গেঁথে রই মায়া নদীর দুর্ভেদ্য বাহুপাশে;