শূন্যতায় ডু’বে আছি, গভীর এক শূন্যতা আমার চতুর্দিকে; অবলীলায় মনের
দিক্বিদিক সে যেন ছড়িয়ে প’ড়ে প্রস্ফুটিত কোন এক জ্যোতির্ময় আলোর মত !
চোখের জলের সাথে একটি বৃহৎ শূন্যতা যুক্ত হয় আমার ভাবনার মৌন জগতে;
সহজসাধ্য ছেলের মতো তাঁকে অনায়াসে জায়গা ক’রে দিই আমার আঁখিকোণে;
দুর্বোধ্য তার সবকিছু আমার চিত্তে; শৈথিল্য নেই কোন কিছুতে; যে বেড়ে উ’ঠে
আমার হাতের স্পর্শে, ভাবনাচিন্তায় দেখা দেয় না গাঢ় মননশীলতা, বুদ্ধিদীপ্ত সেই
বোধ যা জায়গা ক’রে নেয় কল্পনাবিলাসে, অভিনবত্ব তার বহিঃপ্রকাশ বিস্ময়কর
সব স্বপ্ন ঐন্দ্রজালিক মায়ায়; কালো হাওয়ায় মিশে থাকে ঘনবৃষ্টি; সন্ধ্যার কোমল
মেঘে ব্যর্থহীন সম্পর্কে কালের মর্মর দীর্ঘশ্বাস বাতাসের ধূসর রঙে গেঁথে রাখি
চৈত্রের পুঞ্জ-পুঞ্জ হিমবাতাস আমার নিভৃত নিশীথে; চন্দ্রালোকে ছড়িয়ে দিই হলুদ
আভাস কল্পনার স্মৃতিতে; আকাশের নীলে খেলা ক’রে গোপন সুর, অপরূপ তার
জ্যোতির্ময় বিন্যাস আমার আঁখিকোণে; জলও একদা শুকিয়ে যায় টুকরো মেঘের
তীব্র হাওয়ায় মাতাল ঢেউয়ে; আমি তাকিয়ে থাকি নিঃসঙ্গ কোন বিহ্বল মর্মমূলে;
আমার চোখের জলে ছুঁয়ে যায় সন্ধ্যাবেলার হাতছানি তাঁর পরম আদরে; শূন্যময়
আমার অন্ধবিশ্বাস চিত্তের অভিসারে, উজ্জলতর মায়াবী সম্পর্ক আমার ছুঁয়ে পড়া
সন্ধ্যার আলোর নীল সমুদ্রে, প্রতিশ্রুতি দিই তোমার ব্যর্থ ভাবনায়; রূপান্তর করি
সকল সৌন্দর্য অন্তহীন হৃদয়ে; মৃত্তিকার সব রঙ মিশে গেছে সবুজ ঘাসে শুভ্রতা
আমাকে কোমল করে তোলে পরম স্পর্শে; হৃদয়ের অতলে মিশে থাকে আমার
আশ্বিনের বাতাস মর্মর বিষাদে; ভুলে গেছি ফাল্গুনের নরম হাওয়া দীপ্ত আভাস
আমার মসৃণ শরীরে; দু’ফোঁটা চোখের জল ও একটি শূন্যতা নির্বাসিত অন্তরে।