তোমার সৌন্দর্যে সবাই হারালো নিজেকে; তু’লে নিল প্রচলিত বিধি
যা পুষ্পময় ক’রে রেখেছিল তাদের গভীর ভাবাবেগের চন্দ্রালোকে
নিজেকে ভাবতে শুরু করলো সকল রূপের অপরিসীম কণ্ঠ নিঃশব্দে,
নিজেকে নিয়ে গেল তোমার অনেক কাছে, তার ব্যবধান খুব বেশি নয়,
শুধু অনুভূতিতে জমে থাকা বিষাদের ছায়া; বিচ্ছেদে ভ’রে আছে প্রাণ;
তারা মনে ক’রে সকল সৌন্দর্য এক, চাঁদ ও জ্যোৎস্নার নিসর্গ-নদী
ব’য়ে যাওয়া প্রবাহিত রূপালি ছায়া আর অবিন্যস্ত যতকিছু পুণ্যজলে,
তাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেল আঁধারের যত উপকথা স্বপ্নলোকে;
নিজেকে দাড় করালো নীলিমায়, নক্ষত্রের রাতে, জ্যোতির্ময় পূর্ণিমায়;
মুগ্ধময় আভাসে, ভেসে যাওয়া রক্তিম ঠোঁটে; উজ্জ্বল অন্ধকারে বহু
মসৃণ ব্যাকুলতা ভাবনার চিত্তে; স্মৃতির অতলে, কৃষ্ণপক্ষের অপার
সৌন্দর্যের একক কোন অর্থ তাদের জানা নেই; নির্জনতার রাত্রের;
নীল জ্যোৎস্নার গভীরে, প্রজ্ঞার দীপালোকে ঝাপসা হ’য়ে উ’ঠে গাঢ়
হৃদয়ের গভীর গহ্বরে-, আশ্চর্য নক্ষত্রপুঞ্জের দিগন্তের হলুদ বিস্ময়;
পবিত্র নদী তার গভীর সৌন্দর্য ছড়ায় নিরুদ্দেশে আলো-আঁধারের
জ্যোতির্ময় অস্তিত্বে ব’য়ে যাওয়া অবিরল শুভ্রতায়; সন্ধ্যায় তৃষ্ণার
মায়াময় স্বপ্নের দিকে; বিস্ময়কর নিস্তব্ধতার চোখের কোণে যত
সুর তাদের রচিত বাণী দিকে-দিকে; বিন্দু-বিন্দু অশ্রুর ফোঁটায়
ছুঁয়ে যায় ডুবে যাওয়া উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায়, নিবিড় ঠোঁটের হিমে।