আকাশ ভরা জ্যোৎস্নার মধ্যেও বুকটার ভিতরে সীমাহীন অন্ধকার জমে আছে,
চাঁদের প্রোজ্জ্বলিত আলোও যেন ডুব দিতে চায় ভরা নদীর মাঝে
কলঙ্কের সমস্ত বোঝা কাঁধে নিয়ে অষ্টাদশী তরুণীর মতো সে-ও যেন বেঁছে নিতে
চায় আত্মহত্যার সহজ-সরল পথ, ম্লান আলোও কয়েক মুহূর্তে রূপান্তরিত হতে থাকে
পৃথিবীর গভীর অন্ধকারে, মানুষের সমস্ত সফলতার পরও তার অনেক ব্যর্থতা থেকে যায়,
অনেক জ্যোৎস্নার আলোও বিলানো হলো অস্থির পৃথিবীতে তার সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে;
কবিতার পঙক্তিতে দেওয়া হলো অমরতা, তারপরও নক্ষত্রের রাতে তারা
হারিয়ে গেল শেষ রাতে আকাশের অজানা দিকচিহ্নহীন কোমল পথে,
আমার দু’চোখে গেঁথে থাকলো কোমল-নরম অস্পর্শ ছোঁয়া সমস্ত প্রতীক্ষার অবসানে
মেঘের আড়ালে বাতাসে দুলতে থাকে আমার নষ্ট স্বপ্নগুলো লাল-নীল রঙিন বেলুনের মতো;
যাকে ভালোবেসে ছুটে গিয়েছি মাইলকে মাইল পথ স্বপ্নময় বালকের মতো নিবিড় পল্লবে,
সবুজ বাতাসে দুলতে থাকে আমার মসৃণ শরীর, অবিরত তীব্র সুখে ভোরের শিশিরে,
প্রতীক্ষার সমস্ত অবসান মুছে গেল দীপাবলির রক্তিম আলোয় দিকচিহ্নহীন অতীতে;
জ্যোতির্ময় আমার ভাবনা, ঐশ্বর্যময় চেহারায় ফুটে উ’ঠে অবাস্তব সৌন্দর্য দুর্ভেদ্য স্তরে
নিসর্গনীলিমায় ছুঁয়ে যায় তার সমস্ত কারুকার্য মুখ অতীন্দ্রিয় বাস্তবতার নীল ঢেউয়ে।