বিস্মৃতির কণ্ঠে, হাওয়ার শব্দে কেঁপে উ’ঠে আমার নিস্তব্ধতার কোমল সুর,
ভাবনার গভীর থেকে কৃষ্ণচূড়ার গাঢ় রঙে চাঁদও কেঁপে উ’ঠে
ভালোবাসার হলুদ রঙে, ম্লান হ’য়ে জেগে রই শব্দহীন সবুজ শিশিরে;
দিগন্তের শেষ সীমানায় রেখে যাই ব্যর্থ সুখ, আপন ব’লে মনের কোণে
যাকে লুকিয়ে রেখেছি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ’রে; আমি যেন
বেঁচে থাকি স্বপ্নের গভীরে তাকে ভালোবেসে,
হৃদয়ের সমস্ত দুঃখ মুছে গেছে নীল হাওয়ার মাতাল তরঙ্গে;
টুকরো স্মৃতির আড়ালে গেঁথে দেই রূপ ও সৌন্দর্যের কঠিন অর্থ উজ্জ্বল সুরে-
নিঃশব্দ সরোবরে ঢেউ ফেলে-ফেলে এগিয়ে যাই তীব্র বিষাদের দিকে,
বিবর্ণময় আমার দিনগুলো, ভেঙে পড়ে সমস্ত সৌন্দর্য বুকের কোণ থেকে মুহূর্তে,
আঙুলে গেঁথে রাখি বিষাদের কঠিন চিহ্ন, সমস্ত শরীরে নেমে আসে গাঢ় ক্লান্তি;
বাদামী রঙের দিনের আলোয় তাদের লুকিয়ে রাখি নরম ঘাসের বুকে;
নিবিড় সন্ধ্যায় অলৌকিক বিস্ময়ে উ’ড়ে যায় শ্রাবণের কোমল হাওয়া-
অশ্রুবিন্দু ঝ’রে প’ড়ে বৃষ্টির ফোঁটায়, মানুষের মুখ থেকেও অনেক বেশী
সুখ পাই কারুকর্যময় জ্যোতির্ময় অমল সৌন্দর্যে,
নিজেকে লুকিয়ে রাখি নক্ষত্রের নিচে জ্যোতির্ময় সীমাহীন প্রোজ্জ্বলে,
আদিম সৌন্দর্য মিশে যায় প্রতি মুহূর্তে মেঘের আড়ালে
কৃষ্ণপক্ষের সকল অর্থ ফিরে পায় রৌদ্রময় দিগন্তের সোনালী সীমাহীন বিস্ময়ে;
আবেগের সমস্ত কষ্ট শরীর থেকে ঝ’রে প’ড়ে চন্দ্রালোকের আভাসে,
আশ্বিনের বাতাসে ভেসে যায় আমার রঙ্গিন স্বপ্নগুলি শেফালির বনে;
কোমল শিশিরে পৃথিবীর সমস্ত সুখ প’ড়ে রয় সবুজ ঘাসের গন্ধ মেখে রূপালি ডানায়;
স্বপ্নের ভেতর খুঁজি, জ্যোৎস্নার আলো বিছিয়ে ফাল্গুনের হাওয়ায় লেগে থাকে তার
মুখের কঠিন গভীরতা আমার রচিত কাব্যের শব্দের শেষে,
বসন্তের হাওয়া গেয়ে উ’ঠে গান আদিম সৌন্দর্যে অরণ্যের নিস্তব্ধতায়
জীবনের সমস্ত দিনগুলি দুঃস্বপ্নের মধ্যে কেটে গেল নদীর স্রোতের মত।