বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে, কয়েক দশক সময় ধ’রে
উন্নত অনেক দেশের মতো সেও পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষে
বাঙলার সমস্ত ব্যাংক ভ’রে উঠছে ডলার-পাউন্ড আর ইয়েনে তার দিগ্বিদিক
কানায় কানায় পূর্ণ সমস্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, উপচে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা
তার সমস্ত রিজার্ভে, সুনিবিড় শিল্পের ছোঁয়া আজ হীরকখচিত মুদ্রায়
কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ’রে যে স্বপ্ন দেখে আসছে
তার পরিপূর্ণতার স্বাদ পেল এই প্রথম চারদশক বয়সে;
ডলার ছাড়া কেউ আর হিসাব রাখে দৈনন্দিন কাজে, গৃহে ও বাইরে
ভিখারির থালাও ভ’রে যাবে কচ-কচে রঙিন মুদ্রায় সমস্ত গলি-উপগলিতে;
অনির্বচনীয় সব কিছু দেখা দেয় বাঙলার মাটিতে সফল হ’য়ে দিনে ও রাতে
সমস্ত উজ্জ্বলতা ফিকে হ’য়ে আসে দীপালোকের আলোকশূন্যতায়
নতুন বিন্যাস ঘটছে চতুর্দিকে, আমরা হয়তো পৌঁছে যাব নবদিগন্তে
আমাদের সোনালী স্বপ্নে গেঁথে থাকবে পৌরাণিক আকাঙ্ক্ষা,
হাসনাহেনা-কামিনী আর গন্ধরাজ থেকেও আমাদের আঁখিকোণে
অনেক বেশী কোমল হ’য়ে ফু’টে উঠে সেই স্বপ্ন ঐন্দ্রজালিকতায়;
যাঁদের স্বপ্নের জানালায় মিশে থাকতো অনন্ত কারুকার্যময় সৌন্দর্য,
তাঁরাও ভেসে যায় রঙিন স্বপ্নে, বৈচিত্র্য প্রতিশ্রুতিতে, নিবিড় স্রোতধারায়
বাঙলায় আর কোন কষ্ট থাকবে না, অন্তর্জগৎ ভ’রে যাবে পরিপূর্ণতায়
গুচ্ছ গুচ্ছ সৌন্দর্য আজ সে দিকেই, মুদ্রার শরীরে অলৌকিক ছায়া
প্রতিটি প্রাপ্তি জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের রূপ পাবে জ্যোৎস্নাময় নিসর্গসন্ধ্যায়।