এই শহর ছেড়ে একদিন বেড়িয়ে পড়বো নিজের মত ক’রে, শ্রাবণের অপরূপ
সৌন্দর্য আর উত্তাল বাতাস সাথে ক’রে বেড়িয়ে পড়বো; লাল আগুনের মতো
সব কিছু যখন আমার সামনে দিয়ে নিষ্ঠুরতা ছড়াবে; তখনও আমি স্থির রবো না,
ভালোবাসার বু’কে লোকোত্তর স্বপ্ন, সমস্ত কোমলতা যখন আমাকে ছেয়ে ফেলবে
তার বাহু দিয়ে; তখনও আমি একটু দাঁড়াবো না, ভেঙে পড়া সম্পর্কে কোনো
কিছুই দীর্ঘ স্থায়ী পায় না, আমার মধ্যে গ’ড়ে উঠা সকল জ্যোতির্ময় সৌন্দর্য
এই শহরেই রেখে যাব, তাঁদের হাতের স্পর্শে গেঁথে রয়েছে আমার নিষ্ঠুরতা;
তাও আমি ভুলে যাব, আমার হৃদপিণ্ডে রয়েছে বিবর্ণতা আর আকাশের নীল
টুকরো-টুকরো স্মৃতি, স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে জড়িয়ে থাকে অলৌকিক স্বপ্ন শোকাবহ
বেদনাও আমাকে একটুকুও কাঁপাতে পারবে না, স্বপ্নহীন মানুষের মত সবকিছু
রেখে যাব নিশীথের বাতাসে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবো না কোন কিছুতে কেঁপে
উঠা বু’কের মধ্যে, মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যাব গাঢ় সন্ধ্যায় নিভে যাওয়া সেই
মোমের আলোয় আমরাই একত্রিত করেছি ফুল আর কোমল ঠোঁটকে, আঁখির
কোণে জ’মে উঠা সন্ধ্যাতারায় হারিয়েছি হৃদয়ের সকল কোমল সুর আশ্চার্য
গ’ড়ে উঠা শরীরে, স্নিগ্ধ আমার অন্তরের সুরভী, বেদনার কালো মেঘে জমা
হয় বিষণ্ণতা পূর্ণিমার রুপালী আলোয়, ব্যর্থতার সকল সুখ গেঁথে রয় নির্জনে,
সজীব গাছের ছায়ায় লুকিয়েছি ঐন্দ্রজালিক নিঃসঙ্গতা রুপালী গানের গভীরে;
নীল সমুদ্রে কেঁপে উ’ঠে শিশিরের ফোঁটা আমার অন্তর্লোকে স্তব্ধ প্রতীক্ষায়
রাশি-রাশি স্বপ্ন উ’ড়ে গেল চেতনার রঙে শব্দের শীতল নিঃশব্দে রক্তিম স্বরে,
এই শহর ছেড়ে একদিন হারিয়ে যাব সৌন্দর্যের খোঁজে স্বপ্ন-স্মৃতি ভেজা ঠোঁটে।