আকাশের চাঁদ আর মেঘের দিকে মুখ রেখে আজও তোমায় খুজি অতন্দ্রীলা,
সেই সন্ধ্যায় আমরাইতো বেঁচে ছিলাম আমাদের মতো করে নির্মম অগ্নিতে
বসন্তের হাওয়ায় আমরা ভালোবাসলাম পরস্পরকে ভাবনার শাশ্বত আকাশে,
জ্যোতির্ময় তোমার মুগ্ধময় রূপ, আমার বুক আজও কাঁপে তার গভীর শূন্যতায়;
রক্তাক্ত ক্ষতের চিহ্ন, সুধার তৃষ্ণায় রূপান্তরিত করলে তুমি নীলিমার আলিঙ্গনে;
নিস্তব্ধ মনের কোণে রোপণ করলে একশো একটি লাল গোলাপ আর শুভ্রতা
শিরায়-শিরায় ঝ’রে পড়লো আমাদের মিলিত সঙ্গীত উদ্দীপ্ত কোমল ইন্দ্রিয়ে,
আশ্চার্য শরীরে গেঁথে দিলে শুভ্র দ্যুতি, নিবিড় স্তব্ধ রাত্রি, শিল্পীর তুলির স্পর্শে;
অপূর্ব মাধুর্যময় সেই সঙ্গীতের সুর, যা কেঁপে উ’ঠে হৃদয়ের উদ্দীপ্ত মর্মের ঠোঁটে
গভীর ভালোবাসায় আমরা হারিয়ে গেলাম নীল রক্তস্রোতে কেঁপে উঠা মুহূর্তে
আদিম অন্ধকারে প’ড়ে রইলো আমাদের অর্থহীন মুখচ্ছবি স্তব্ধ স্মৃতির আড়ালে
মেঘমালার পুঞ্জ-পুঞ্জ শিশিরে ছুঁয়ে গেল কোমল সৌরভ, আঁখির দুর্ভেদ্য নিশীথে;
গ’লে-গ’লে ঝ’রে পড়লো দু’চোখের অশ্রুবিন্দু, তৃষ্ণাতো শরীরে বৃষ্টির ছোঁয়ায়
অলৌকিক কণ্ঠস্বরে ম্লান হ’লো আমাদের প্রস্ফুটিত স্বরমালা বসন্তের নিরুদ্দেশে
সবুজ জ্যোৎস্নার নিঃসঙ্গ আঙ্গুলের ছোঁয়ায় তুমি ভুলে গেলে তোমার দীর্ঘ অতীত,
প্রবাহিত বর্তমান আর উজ্জ্বল ভবিষাৎ, পবিত্র শরীরে নিঃশব্দে মুহূর্তে অন্তরালে
নিসর্গ সন্ধ্যায় নক্ষত্রের ছুঁয়ে যাওয়া অঝোর বৃষ্টির ফোঁটায় নীরব ভালোবাসায়
হারিয়ে গেলাম পরিপূরণ রূপ লাবণ্যের মাঝে গভীর অরণ্যেয় নিবিড় নিমগ্নে;
যেখানে সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি ফু’টে উ’ঠে সংগীতের স্পর্শময় সুমধুর
অন্ধ ভালোবাসায় ছুঁয়ে যাওয়া প্রাণে, ঢেউয়ের গভীর থেকে শব্দের সুরে-সুরে
ভেসে আসা স্বপ্নে, প্রোজ্জ্বল ঝলোমলো ঠোঁটের কোণে মেঘের অপরূপ শরীরে,
অতন্দ্রীলা, তোমাকে গেঁথে রাখি কবিতার পংক্তিতে, স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের চোখে;