একটু দাঁড়াবো, অতঃপর চলে যাবো তোমার ছায়া থেকে অনেক দূরে,
রুপালী স্বপ্নের আঁখিপাতে, কিছু বলবো না তোমাকে; কখনোও যা বলিনি,
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কোন কিছুই নেই আমার গৌরব করার মত;
যেখানে থাকতে পারে শূন্যয় ভেঙে পড়া মানবিক সম্পর্কের নীল চিত্র;
সমুদ্রের ছায়ায়, জ্যোৎস্নার ভিতরে মিশে থাকে কঠিন রুপ রক্তের হিমে
আশ্বিনের বাতাসে উ’ড়ে যায় আমার সকল চেতনা তার আপন লক্ষে,
শিশিরের জলে, ছুঁয়ে যাওয়া নিঃশব্দ প’ড়ে থাকে হৃদয়ের সকল
গোপনীয়তার ঠোঁটে; অন্ধ ও নিশীথ আঁখিকোণে কাপা আঙ্গুলের সুরে
প্রস্ফুটিত কোমলে ঝ’ড়ে প’ড়ে বিক্ষিপ্ত জ্যোতির্ময় অমল আলোকে;
নান্দনিকতা যেন ছুঁয়ে যায় সৌন্দর্যের অমল ঠোঁটে শিশিরের ফোঁটায়,
রক্তলাল হৃদপিণ্ডে গেঁথে থাকে ঝকঝকে নীল আলো শ্রাবণের ধারায়
আপন শরীরে, ব্যর্থতার স্পর্শহীন সম্পর্ক মসৃণ ক’রে তোলে নিসর্গ বনে;
আমার জ্যোৎস্নাময় পবিত্র দুই ঠোঁট কেঁপে কেঁপে বেজে যায় নিরবধি,
মায়াবী আঙুলের নীলছোঁয়ায় মৃত্তিকা নেই পদতলে স্বপ্নের গভীরে
তোমার একফোঁটা চোখের জলে দাঁড়িয়ে থাকে আমার বেড়ে উঠা স্বপ্ন
শতাব্দীর সূর্যকরোজ্জ্ব্ল মধ্যেদিনে, দীপাবলির জ্বেলে উঠা আলোয়
জলপাই রঙের সৌন্দর্যে মিশে থাকে আমার সকল শূন্যতা জ্যোৎস্নার
নির্জনে, বিচ্ছেদে মিশে থাকে লাল-নীল নিসর্গ প্রদীপ মায়াময় বাহুতে;
অনিন্দ্য ছায়া আমাকে নিয়ে যায় তোমার রক্তলাল হৃদপিণ্ডে;
মেঘের গভীরে জ’মে থাকে অলৌকিক রুপ তার স্নিগ্ধ হলুদ বনে;
দ্বীপপুঞ্জে গভীরে বেড়ে উঠি সম্পর্কহীন ভালোবাসায়; শিশিরের সবুজে
নিসর্গ নীলিমায় শাদা নক্ষত্রের বু’কে জমে থাকে ভেজা চোখের মতো,
মৌলিক ভাবনার সৌন্দর্য আমার চতুর্দিকে, প্রস্ফুটি অনন্যতা তার তুলনাহীন
প্রস্তরভূমিতে বেড়ে উঠে আমাদের সম্পর্ক মিশে থাকে অবিচ্ছিন্নতা,
বৈচিত্র্য সৌন্দর্য গ’ড়ে উ’ঠে বিকশিত ভাবনার মর্মরে; পুঞ্জ মেঘে জমে থাকে
হারানো সুর আমার অলৌকিক ইন্দ্রিয়ে; নরম, মসৃণ ব্যর্থহীন জীবনে,
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো আমার স্বপ্নের গভীরে রূপান্তরিত চেতনায়;
একটু দাঁড়াবো, অতঃপর চলে যাবো; তোমার ছায়া থেকে অনেকদুরে;
চন্দ্রমল্লিকার শুভ্রতা ছড়িয়ে যায় আমার ইন্দ্রিয়ে বস্তুপুঞ্জের তীব্র স্তরে;