এক
মফস্বলের কোন এক কিশোরীকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম-
‘তোমার হৃদয়ের উল্টোপিঠে কোন শুন্যস্থান আছে কি ?’
কলেজের চৌহদ্দিতে পা রাখা কিশোরীটি প্রতিউত্তর করেছিলো-
‘হৃদয় বলতে তোমরা কি বোঝ আমি জানিন না ।
তবে; ভেনেটি ব্যাগের কয়েকটি প্রোকষ্ঠকে আমরা হৃদয় বলি
তুমি কি সেই হৃদয়ের শুন্যস্থানের কথা বলছো ?’
কাধেঁ ঝুলে থাকা হৃদয়ের ভার আমি বইতে পারিনা
ওতে কেবল বোগলের দামি পারফিউমের ঘ্রাণ চুয়ে পড়ে।
তোমাদের হৃদয় খুলতেই ভেসে উঠে-
স্মৃতিসৌধ আর শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত কিছু ছাড়পত্র
তাতে লিখা থাকে-“চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে”।



দুই
“গীতাঞ্জলী” পড়ে যে অজ্ঞাত যুবক
রবীন্দ্রনাথ হতে চেয়েছিলো-  সে আজো কোন কবিতা লিখেনি ।
দাসবাবু “রিন্মমতো” একেছিলো হৃদয় আর পেন্সিল দিয়ে
আমরা ধরেই নিয়েছিলাম সে একদিন ভিঞ্চি হবে অথবা সুলতান ।
অতঃপর সে আর কখনোই হৃদয় দিয়ে কিছু আকেনি ।
পার্টি বদল করে বামপন্থিতে নাম লিখালো যে বন্ধু-
ঘুমের কারনে বিপ্লবীদের মিছিলে সে আজো যোগদিতে পারেনি ।
উষ্ণ বিছানায় আজো ঘুমন্ত চেতনা’র চে’ ।
চৌত্রিশ বছরের অবিবাহীত যে নারী স্বপ্ন দেখে-
তার কোলে একদিন শিশু আসবে, নরম গালে সে চুমু খাবে……
সে বাকি জীবন সন্যাসী থেকে যেতে চায় ।