বন্ধু, প্রিয়তমা, সুধিজন
সামরিক-বেসামরিক,
সকলের অন্তরাত্না হতে মুছে গেলো কবি ও কবিতা ।
নক্ষত্রের নিচে কালো রত্রীর দীর্ঘশ্বাস তাদের ভালোলাগেনা ।
নরম তোষকে আদুরে গৃহকর্তা জানেনা
লাশকাটা ঘরে অজ্ঞাত জননীর নাভীকাটা সন্তানের দেহে
বাইশটি জীবিত পোকা দাড়িয়াবান্দার কোট কেটেছে ।
শ্রমিকের উত্তপ্ত ঘামে কাঁশফুলে আগুন লেগে যায় ।
এক খন্ড মফস্বলে বড় হতে থাকে নষ্ট বীজের ফল ।
গেরুয়া পোষাক, কালো বুট পরা জল্লাদেরা
ব্রেসিয়ার খুলে চেক করতে থাকে আত্নঘাতি বিস্ফোরক ।
সিথির সিদুর থেকে মুছে দেয় প্রিয়তমার চুম্বন ।
স্পষ্ট করে বলছি- মানুষের কোন ঠিকানা নেই ।
আমার ভাবনা হয় মানুষ নিকৃষ্ট কিছুর বংশধর ।
পৃথিবির জন্মের পর
মিথ্যে প্ররোচনায় সহবাস হয়েছিলো গোলাপের সাথে তেলাপোকার ।
তারপরের ইতিহাসটু্কু সন্দেহাতী্তভাবেও প্রমানীত হয়নি
মানুষ কার বংশধর?
গোলাপের না তেলাপোকার না অন্যকিছুর ?
আমার ভাবনা হয় মানুষ নিকৃষ্ট কিছুর বংশধর ।