মৃন্ময়ীকে ভালোবাসবো বলে
বৈরাগীত্বকে রেখে এসেছি মৃত্তিকার কাছে ।
মৃন্ময়ী জানেনা,
ভয়ঙ্কর একাকীত্বে গত শ্রাবনে নিরানব্বইটা কবি আত্নহত্যা করেছে ।
আমিও প্রস্তুত ছিলাম গলায় কলসি বেধে-
নদীতে ঝাপ দিতেই সমস্ত জল শুকিয়ে গেলো ।
সিলিং-এ ঝুলানো বৈদ্যূতিক পাখায় নাইলনের দড়িটা বেধেছিলাম
শীতল ছাইয়ের মত ধ্বসে পড়লো শরীরে ।
সকেডবোর্ড খুলে বৈদ্যুতিক তারে হাত রাখতেই
প্রচন্ড লোডসেডিং নেমে এলো আমাদের মহল্লায় ।
বিষের পেয়ালায় চুমুক দিতেই
আমি বুঝতে পারলাম মৃত্যুর পঞ্জিকা থেকে খসে গেলো আমার নাম ।
মৃন্ময়ী তখনো আমাকে চেনে না ।
মৃন্ময়ীকে ভালোবাসবো বলে- মৃত্যু আমাকে উপেক্ষা করেছিলো ।
করুনা করে ভেস্তে দিয়েছিলো আত্নহত্যার সমস্ত চেষ্টা ।
মৃন্ময়ী কখনো জানবেনা-
মৃত্যুর শেষ সিঁড়িটায় আমার দুটি পদচিহ্ন ছিলো উহ্য ।
মৃত্যুর ঘিজঘিজে অলিগলি ঘুরে আমি পৌছে যাই মৃন্ময়ীর হৃদয়ে
গভীরে, আরো গভীরে পৌছাতে থাকি মৃত্যুকে পেছনে ফেলে ।
আমি বুঝতে পারলাম-
মৃন্ময়ীকে ভালোবাসতে বাসতে একদিন সমস্ত প্রেম ফুরিয়ে গেলেই
আমার মৃত্যু হবে ।