চারপাশের পরিবেশটা বেশ বিপদশঙ্কুল হয়ে ওঠেছে
বুকের খুব গভীরে যে দানব বসবাস করতো এতোদিন
তা ইদানিং হঠাৎ করেই জেগে ওঠে বারংবার
লণ্ডভণ্ড করে সমভূমি, চোরাবালির কুমারী নদী
আমি সীমারেখা টানি ব্যক্তিগত অন্ধকারের
লোভাতুর সে দানবের স্বভাব শান্ত করার প্রত্যয়ে
অবশেষে দেয়াল টানি ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতার।
একদম শান্ত- সুশীতল দখিনা বাতাসের মতো
দীর্ঘ ঘুমে কাটানো সময় দিগন্তব্যাপী আকাশ
ক্ষুধা, ঘুম, কাম সকল প্রাণীর মতো মানুষেরও আছে
তবু মনন সর্বস্ব মানুষ অন্বেষণে হয় না মানবিক
অথচ আবারো জেগে ওঠার ভয়াবহ সম্ভাবনাকে
ভেতরে নিয়ে প্রত্যেকবার ঘুমায়; থাকে গভীর তন্দ্রাচ্ছন্ন।
চারপাশের আঁধারে মানবিক জীবন আলাদা সনাক্ত করে
আমরা তেমনভাবে অযুহাতকে অনিবার্যতায় বাতিল করি
শৃঙ্খল ভেঙে গড়েছি আমার পরিবেশ; তারপর
একদিন নীরবে চলে যাবো পলিমাটির মায়া ছেড়ে
যেটুকু সন্ধান পেয়েছি ওতে পানপাত্র ভরে রেখে
যেটুকু সময় বাকি নিজস্ব পৃথিবীতে ফুল ফোটাব আবার।
অতঃপর নিয়ত হেঁটে চলি প্রেম ও সুন্দরের প্রত্যাশায়
দেশটাকে কুরে খায় একাত্তরের শ্বাপদ, হায়েনা।