সুখে-অসুখে আড়ম্বরপূর্ণ এই জীবনযাপন
ধীরে ধীরে জেঁকে বসে জাদুর আয়নায়
শৈশবের খরস্রোতা নদী কীর্তণখোলা
নিনাদে শঙ্খের প্রাণভ্রমরা অস্তিত্ব হারাই
দুঃখের মুখর আয়োজনে- অস্পষ্টতায় মুড়ে।  

দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছায়াময় জীবন জ্বলজ্বলে উষ্ণতা নিয়ে
ভালোবাসা পাগল মানুষগুলো সাহসী হয়
তবে বোকা ও আবেগিও হয় ভালোবাসলে
গ্রহের কক্ষপথে থেকে রয় নিরীহ মাটির মানুষ-
পৃথিবী থেকে নিঃস্ব; বারবার পথ হারায় পথে
পথ ফুরিয়ে যাবার ভয়ে দরদী ঝরনা সারসীতে
নিদাঘ বক্ষে খেলে যায় হাতড়ানো কস্ট-স্মৃতি।  

পৃথিবীতে কখনো কখনো ভীষণ নিগ্রহ ছেয়ে যায়
লুকিয়ে রেখে আকাশ রঙের নীলচে অভিমান
বুঝেনি কি যে গভীরতা; ব্যথাতুর ক্যানভাস!

এসো, পরিপূর্ণ হই বাগানে কিংবা শ্মশাণের চিতায়
নিঃসঙ্গ জীবন কাটে না দুর্যোগ-খরা, অনেক দিন
দেখা হয় না আমাদের; ভাবলাম আজ দেখা হোক
দেহের সাথে দেহ, মনের সাথে মন হোক খুনসুটি।

শুধু তোমাকেই খুঁজে ফেরে যে ক্ষুধার্ত চোখ
পাহাড়ের কোলে হাওয়ার আদর মেখে
ঝরনার তৃষ্ণায় কাঁপছে ঠোঁট ছুটির দিনে
নদীতে মিশে পান করবো অমৃতধারা-

এখানে মায়াবী আঁখির জল- নিটোল টলমল
নিমজ্জিত হয়ে যেনো পায় মন জুড়ানো সুখ
প্রতিক্ষায় থেকে খুব বেশি ক্ষতি মানি আর
শুধু মিনতি কণ্ঠ জুড়ে, জানাই আত্মার আকুতি-

মন্ত্রমুগ্ধের মতো জীবন টেনে নিয়ে যায় অন্য ভুবনে
প্রদীপ নেভার সময় আগত হলেও থাকে দিবাস্বপ্ন
তুমুল কুজ্ঝটিকার ক্ষণ ফুরিয়ে যাবার আগেই এসো
আকাশের তারাকে জোনাকি পোকা মনে করে
এসো শ্মশানে, আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন ছেড়ে।