কীর্তণখোলাকে আমার সহোদর ভাবি আজন্ম
সাপের ভয়ে বিহ্বল না হয়ে নামি হিমশীতল জলে
নিউরনের দুর্বল কোষে ঘটে সবিস্তার
ক্ষতদেহে হোক যতই বৃদ্ধি যেন সুখের জঞ্জাল
দীঘল ক্লান্তির রাত্রি শোনে না সুপ্ত আর্তনাদ।  

দিগন্তে নিশাচরের আশ্রিত হয়ে আমি ইদানিং
বৃক্ষশিশুর শাখায় রোদে তাপ ওমে বিস্তৃত হই
সব অনড় অটল বিশ্বাস মিশে যায় না অশ্রুলেখায়!

একাকিত্বের জোড়া চোখে থাকে  কত অভিশাপ
স্মৃতিরা কখনও হয় না ক্লান্ত; হয় না পরদেশী
সারম্ভরে সাজানো থাকে জন্মের ঠিকুজি
অমরত্ব কবজ নিয়ে অন্তহীন যায় না বাঁচা ইহলোকে।

সুখপাখিগুলো অচিনপুরের বাসিন্দা হয়ে গেলে
সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা উড়ে যায় ভয়ার্ত বাদুড়ের মতো
যত্ন ভরে শুনতে হয় শঙ্খের ধূসর কান্না নোনাজলে
সেলাইবিহীন ক্ষত নিয়ে ওড়ে ইচ্ছেঘুড়ি নিয়ম মতো-

ঈশাণ থেকে কীর্তণখোলার স্রোত বয়ে চলে বঙ্গোপসাগরে।