নির্বাসিত অন্দরে:-

নির্বাসিত তোমায় কেউ গোপন করেছিলো
আমরা এসেছিলাম-
হেরিংগাল শাবকের মতো,চাতকের মতো
দিকচিহ্নহীন ছুটে।
নির্বাসিত তোমায় কেউ গোপন করেছিলো
রক্তগন্ধা ছিলো?
এমনটা তো নয়।
তবু বার বার আমি পরাজিত হয়ে ফিরেছি
মৃত্যুর আগে তুমি*
কাজল প'রে ছিলে।

তোমাকে ছেড়ে দিয়ে বহু পথ পারি দিই
সামান্য আড়াল হয়ে
সবে গাঁ ভাসিয়েছি নতুন দীঘির জ'লে
দু হাতে কেন জড়িয়ে ধরো?
তোমাকে ছেড়ে যায়,এমনটা সাধ্য নেই
আদৌ ছিলো নাতো কোনোদিন!
কোন এক দুঃসময়ের প্রতীকি তুমি
রয়ে'গেলে।
অস্তিত্বই আজ আমার বিকলাঙ্গ
ক্ষুদাতুর আমি-
বন্দি তোমার নির্বাসিত অন্দরে।

নির্বাসিত তোমায় কেউ গোপন করেছিলো
এক মুহুর্তের জন্যে-
বিশ্ব সংসার ত্বন্ন ত্বন্ন করে খুঁজেছি
স্বয়ং রুষ্ট ছিলো উনচল্লিশ ষোল নীল
পদ্ম।

কে চাই তোমাকে:-


কাছে এসে দাড়াও তুমি
আমার সম্মুখে
এক কোটি বছর দেখিনা
তোমায়-
আমার অস্তিত্বে তুমি
অপ্রতিভ ছায়া হও,
কে চাই তোমাকে?

সুদর্শনের ভিড়ে প্রবাল
দীপ্ত তুমি
মাধবীবালা
কনকনে সিত রাঙ্গা
ফরসা রমণী,
নগ্ন প্রভাতরাশির
ঐশ্বর্য সবি আমার সাধনা।
সাত-ছয় এলোমেলো খেলা
কেন আজ
বিস্তীর্ণ করো তোমার হাসি
কে চাই তোমাকে?
কে চাই হাসি!

পারলে কিছুটা দুরে সরে যাও
অন্তত শার্টের বোতাম খুঁলে
একটা শ্বাস নিতাম-
দীর্ঘশ্বাস।
পারলে আমায় ভুলে যাও
আমি কোনদিন কাহারো অধীনস্ত ছিলাম
না কখনো
শুধু শুধু মাটি কামড়ে পরে থাকা
কি লাভ!
সিত ঐশ্বর্যবান ধবল বকের মতো
কৃষ্নত্ব বিলিয়ে-
করেছি গঙ্গা স্নান।
কিছুটা কর্দমাক্ত হয়েছিলাম
তোমাকে ছুঁয়ে
এবার না হয় মুক্তি দাও
আর কে চাই তোমাকে!

নিরব কেন:-

অনন্ত অলীকের কোন এক
আদিম দেবর্ষির
আয়ু রেখা দেখে
কঠিন তোমার অস্তিত্বে
আমি এক-
সুপ্রাচীন নক্ষত্রের মৃত্যু
আন্দাজ করেছিলাম।

অনাহুত মুখশে বাধা
চিরন্তন কিছু মুখ
রাতের আধাঁরে ফিরি
দিগবিদ্বিক-
দুঃস্বপ্নের কিছু শুন্য
খাঁ খাঁ গল্পেরা রয়ে যায়,
ঝাঁ ঝাঁ রদ্দুরে-
পুড়ছে মাঠ,দুপুর।

হঠাৎ তোমায় দেখে-
কি জানি কি হয়ে গেলো,
ঠিক বুকের বাঁ পাশটা
না না;আমার অন্তর্হিত কাম
না জানি-
হাত ফসকে প'রে যায়
নগ্ন আত্মার বেমানান গোলাপেরা।
আমার ভয় হয়-
তোমার সাথে আমার একি কুশল
বিনিময় শুধু,
নাকি প্রচন্ড তাপদাহে
আমরা দুটি হারানো আত্মার
বিভিশিখাময় পরিণাম,
তোমায় দেখে কিছুটা
অবাক হতে হয়-
ঢেউহীন নদীর মতো
তুমি কতটা প্রান্জল
কিন্তু নিরব কেন,
"মোনালিসা দাস"।

একদিন অতীতের সব অতীত:-

একদিন অতীতের সব অতীত
বিলিন হয়ে যাবে
কামনার বাসে।
আমাকে বলতে বলবে না কখ'নো
আমিও আদিম মানুষ ছিলাম,
বর্বর রাতে তোমার সাথে মেতেছি
আদিম খেলায়-
তোমার স্পর্শে,
ফুটে আছে তার নৈব্যদের ফুল।

আমরা চাইলে লুকুতে পারি,
তুমিও।
ধরাকে ছুঁয়ে যতদূর এগোনো
যায়।
চাইলে আমায় দন্ড দাও
মৃত্যুই বা দিয়ে দিলে
কমোলের গায়ে তিলার্ধ
কীটের ঠাঁই
একেবারেই অসহ্য।
বরং দেখো;
একদিন অতীতের সব অতীত
বিলিন হয়ে যাবে।