তুমি তো সেই-ত্যাজি জঙ্গলার বাঘ,
একদিন আছিলা এই পরাণেরি ঘাস।
মুখের গড়ন পাল্টায়া আইজ ক্যান-
উঠানের ঘাসের লগে খাও চোক্কর?

রাইতের-বেলা ডাহুকের মতো ডাকো
শিষ দিয়া - এই বুঝি নতুন ছলনা!

আমার আর নাই কোন স্বাধ;দুরদেশি
ডাহুকের মতো দিকচিহ্নহীন পলায়বার,
আমার কনিষ্ট অঙ্গুলি কেঁটে ছক।
ধনেশের কথা আমার ছিলই অজানা।

আমার হিয়ার ভিতরে হিংসার ছাপ-
তোমারে দেইখ্যা মনে হয়;বহুত জামানা
বাদে আইছো মাটিত থিন উইঠ্যা,
তুমি আফ্রিকার-কালো তমাল তম সাপ।

তুমি লাল রঙা সেই বিষাদের বাঁশি,
ধনুকের ছিলার মতো-দিনেরবেলা;
জাগাও আমার এ কাঁচা হিয়ার কাঁপন।
তুমি বনে বনে ঘুইরা এহন ভিনদেশি!
আর মনে নাই তোমার মুখের গড়ন।

তুমি আছিলা সোনার স্বপনে;আইজো
দ্যাখি তোমায়,যখন আছিলা হাঁপন।
তোমার কি জানা নাই আর কোন পথ-
আমার যে ভালো লাগে ঘাসের কথন।