আমাকে দেখলে তোমার অধঁর কাঁপে
থঁর থঁর করে উরুসন্ধি,জিওভার জল;
নাসিকা-গ্রীবা হতে পায়ের পাতা অবধি
তোমার চোখের পাতায় একমুঠো জল।
ভিখারি নই ভিখারিনীও নই অন্য কেউ;
স্বর্গ ও নরকের ঠিক মাঝামাঝি থেকে
পাপ-পুণ্যের হিসেবে খুব কৃপণ আমি,
মন্দিরে মন্দিরে ঘুরেছি পূজোর থালা হাতে
কখনো মন্দির-বেদি ভেঙেছি এই হাতে।
আমি শ্রমিক নই,প্রেমিক ও নই অন্য কেউ;
কারুকার্য খঁচিত বেদনাবহুল স্ফুলিঙ্গ,
তৈলচিত্র,কোনো পৌরাণিকরম্য হতে আসিনি
আমি দুই যুগ হাসি নি দুই যুগ কাঁদিনি
ভালোবাসা পেতে অচ্ছুৎ হয়ে আছি।
যুগ্ন দেবী ও দেবতার নাম ভালোবাসা?
যুগ্ন মানব-মানবী'র নাম ভালোবাসা?
হলুদ চা,নীল কস্তুরী চাঁদ ও ডাহুকের ছা
'র' এবং রেফ্ এর মধ্যে ভালোবাসা
ভালোবাসা লাল-সবুজের উদ্যত পতাকা।
বুক বরাবর গ্রেনেড পোঁতা মাইনে পা
শুকুনের লাল চোখ'কে উপেক্ষা করে
স্বাধিনতা!স্বাধিনতা! বলে আর্তনাদ
এক নিঃশ্বাসে হাজার বার 'জয় বাংলা'
এই আমার ভালোবাসা ।ভালোবেসে;
সোনালি হাঁস,শীতের পরীযায়ি পাখি
ওরা গান শোনাবে আমার দুঃখিনী মাকে।
তারপ'রে একদিন টলমলে শিশিরের ভিড়ে
বসন্তের বেলাতটে রোদ খেলে খেলে ...
কখোন উ'বে যাবে চোখের কোটরে
ভালোবাসা যুগে যুগে জেগে থাকা ঘুমের ভেতরে।