মিরা ভূমিকা

শুন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে মিরার

এবার কেঁটেছে যেন বন্দি দশা,

আর নেই বৈশাদৃশ্য কোন,ধাঙ্গর

ও যোকের ভয়-দুটোয় সমান।

মিরা পা ফেলে এসেছে এ নীড়ে-

জ্বল জ্বল করে ওঠে জলো রেখা।

কাল আবার শুরু মাঘের শৈশব

কাল মিরা যাবে দুরের কুয়াসায়,

সন্ধি ও শুন্যের হাওয়া ঘুরে ওঠে

মিরা ও মিরার অদৃশ্য আশপাশ!
_________________________________
মিরা,তুমি অরিন্দম

ক্ষেত ও খামারের মতো প্রাণের অস্তিত্ব

বণিকের হাল ছেড়ে জাহাজ-খালাসি

মিরা এসেছে; দুরদেশি পাঁচিল ডিঙিয়ে,

ছ'জন প্রেত্মের মতো নিঃশব্দে চলা

আরক্তিম চোখে,মিরা হঠাৎ খেলা করে।

মিরার অস্তিত্বই যেন পারমাণবিক চুল্লী!

মিরা মরে যাবার এক যুগ পর -আবার

এক নতুন মিরার জন্ম হয়েছে এ শহরে,

জন্ম নিয়েছে কিছু অদৃশ্য কালো ধোয়া

মিরার ছায়া নিয়ে দিনে দিব্যি হেঁটে চলে,

অকটোপাসের মতো সারা শরীর ছুঁয়ে

রক্ত ও ক্ষতের চিহ্ন বিষম লেগেছে সর্বত্র।

মিরা চাক্ষুসে দো-ফসলি জমির মতো;

হঠাৎ শুভ-ক্ষণে জন্মে বাড়িয়ে দেয় পাদ্য,

সত্ব নারীসত্বার এ মিরা -এখনো অনৃঢ়া।

মিরার দিবস ও রজনী কাটে ভাগাড়ে,

মিরার যুধিষ্টির মতো চোখ -আজানুলম্বিত।

মধ্যরাতে লোকালয় ছেড়ে মিরা আসে এ শহরে।

দর্শনেচ্ছু কবিরা বলে,"মিরা,তুমি অরিন্দম"।

মুষ্টিমেয় তাদের মধ্য হতে আমি হতভাগ্য!
________________________________

কুয়াসা থেকে

হঠাৎ ধ্রুম কুয়াসায় -সন্ধ্যা পেরিয়ে নদী,
চাঁদের আলেয়ায়,ক'জন যুবক বুনে জাল;
মৃদ্যু কলহস্যে চাতকেরা নিজ গৃহে ধায়।

আমাদের দেখা ঐ নদীটির তীরে -হে নদী
আমাদের দেখা ঐ নদীটির তীরে।

মিরার অদৃশ্য দেহের ছুঁয়ায়-হিম কুয়াসায়।

ফোটায় ফোটায় শিশিরের বান ডাকে
হে মেঘমালা,শিশিরেরা বান ডেকে যায়।

দেখেছো কি শীতের সকাল কখনো কোথাও,

মিরা,দেখেছো কি শীতের সকাল কখনো কোথাও?

দেখো, ও গায়ের কুয়াসায় -শিশুটি ঘুমায়!

__________________________

ভিখারি

শীতের সকালে দু'জন ভিখারির উঁকি
মিরা,তুমি বুঝে ওঠো না কেন -মিরা তুমি
মুষ্টিভিক্ষা দিতে -এতই উন্মুখ হলে?
না হয় চেয়ে দেখতে আছে কিনা ঝুলি।

কান পেতে আছো,কীসের আওয়াজ শুনে
এ শহুরে এসেছো তুমি।মনে পড়ে, -দেখো
আরেক মাঘের শৈশবে দুজন ভিখারি;

আমরা ছেঁড়েছি ঘর কুয়াসা কাফন প'রে।
______________________________
আলোড়ন

নড়ে ওঠে মিরার চিবুক -অসুখ সেরে
আলোড়ন তুলে ঠোঁঠ-হয়তোবা আর কোনদিন
পাখির নীড়ের মতোন মিরার ও ঠোঁঠ-
চিবুক ও কপোলের আঙিনা -যাবে না ছুঁয়া।
হয়তো -আর হবে না দেখা লোকেদের ভিড়ে,
হয়তো -দু'হাত দুরত্বে র'বে চোখের আড়ালে।

মিরা,তোমার অসুখের ফাঁকে পড়ে গেছে মন
তুমি চলে যাবে বলে মূহুর্তের -আলোড়ন।
____________________________
যেয়ো না তুমি


তোমার চোখে ও ভ্রুতে মেশা হাসি
তোমার তোমাকে দেখো -আমি দেখিয়াছি।

দেখিয়াছি চাতকের মতোন হেসে,
তোমার তোমাকে দেখে আমি হেসেছি
প্রথম -নদীরা যখন নষ্টকের'দলে।

ও চাঁদ,যেয়ো না তুমি ,যেয়ো না তুমি
ঘন মেঘ,বুনো হাঁস বেণুবনের উপমা তুমি।

ধূলোঝড়ে আমাদের ঘরবাড়ি -অগোছালো
আমরা তো আগাছা নয়,আগাছা তো ওরা!
সত্য সে সুন্দর জানো,জানে তেরোশত -নদী।
____________________________________
তোমার আঙিনায়

আঙিনায় -অগ্নি জ্বলে,খর-তাপ দাহে
আমাদের শৈশব কেটেছে কতদিন আগে,

এখনো কি মনে পড়ে,হরিপালের ডাঙায়,
দাড়িয়ে দেখেছি;কত মাছ ধরেছে জেলে।

চলে গেছে চাষি,গেয়ে গান -ভাটির উজানে।
হয়তো দেখিনি আমি,হয়তো তুমি দেখেছিলে,

চোখের আড়ালে -কত কৃষাণ ছেলে
ভিনাগাঁয়ি পথ ধরে -গিয়াছিলো উবে -আর ফেরেনি

এখোনো আমরা তোমার আঙিনায়
-তাহাদের পথে চেয়ে।
____________________________________________
কেঁদোনা তুমি


খোকোনেরা কাঁদে,কেঁদেছে -দেখেছি আমি,
চাঁদর জড়িয়ে গাঁয়ে ঘুপটে ছিলো ওর মা,

-দেখোনি কি তুমি?আমি দেখেছি! -তখন
শ্যাওলা ভাঙে শিশু, -শিশুশুদের মতোন

যতনে তুলে রাখি তোমার আক্ষরিক চিঠি।

মাঝরাতে -এ চিঠির আঁখর ভেঙে যায়,
মুক্তবাতাস গাঁয়ে লেগে -ওরা কাঁদে,কেঁদে ওঠে

তুমি কি কেঁদেছো কোনোদিন? -কাঁদোনি,

কান্নার শব্দ হয় না,কান্না নদীর মতো ভাসে
কান্না জলাঙ্গীর মতো রোল তোলে হাসে!

হে খোকন, এলিঁয়ে দাও তোমার চিবুক
এই হাত ছুঁয়ে দিক ও মুখ -কেঁদোনা তুমি!
____________________________________________
আলোকিত ঘর

তোমায় প্রথম দেখে-পেয়েছি আলোকিত ঘর,
সাত'শত কবর খুড়েও আবার তোমার দেখা
তোমার তোমাকে কখনো ভাবিনিতো প'র।

তোমাকে দেখিনি কখোনো,তবু তুমি মিরা।
তোমাকে ছুঁয় নাই কনোদিন,তবু তুমি মিরা।
তোমাকে ভেবেছি আমার আলোকিত ঘর।
____________________________________________